গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

পটুয়াখালীতে ইয়াসমিন নুসরাত (২৪) নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মাত্র ১৫ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবুনিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির বসতঘরের বারান্দা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১টার দিকে বসতঘরের একটি কক্ষে সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তার ননদ ইভা আক্তার। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
নিহতের ননদ ইভা আক্তার বলেন, আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। নামাজ পড়ার রুমে গিয়ে দেখি ভাবি গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছেন। চিৎকার দিলে মা-বাবা ছুটে আসেন। হাতের নাড়ি ধরে বুঝি তিনি আর বেঁচে নেই। ভাই পাশের বাজারে ছিল। ফোন করলে সে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে আশপাশের লোকজন পুলিশ আসবে বলে বলায় সে সরে যায়। আমার ভাবির আগে থেকেই মানসিক সমস্যা ছিল, সে মাঝেমধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করত।
নিহতের শাশুড়ি লুৎফা বেগম বলেন, ওরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেছে। আমার ছেলে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। দেশে এসে কখনো ওকে মারধর বা নির্যাতন করেনি। তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও ছিল না। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।
মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন লিটন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় মরদেহ। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, পারিবারিকভাবে কোনো বড় ধরনের ঝামেলার কথা তারা জানাননি।
নিহত ইয়াসমিন নুসরাত চারাবুনিয়া গ্রামের ইলিয়াস কিবরিয়া নিলয়য়ের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি ভোলা জেলায়। দাম্পত্য জীবনে তিনি ১৫ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তানের মা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কিশোর রায় বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে একজন নারীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। আইনানুগভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএআর