বগুড়া থেকে ঢাকায় যাবেন অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মী, প্রস্তুত ৫০০ বাস

আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে তার নিজ জেলা বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাস ও অন্যান্য যানবাহনে করে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বগুড়া জেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বগুড়া সদরসহ শিবগঞ্জ, গাবতলী, ধুনট, শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও শাজাহানপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঢাকাগামী প্রায় ৫০০টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক নেতাকর্মী মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে করে ইতোমধ্যে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন।
দলীয় সূত্র মতে, ৫০০টি বাসের মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলা থেকেই যাবে ২৫০টি বাস। ১১টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে ২০টি করে মোট আরও ২৫০টি বাস ঢাকায় যাবে। পাশাপাশি বগুড়া জেলা বিএনপি জানিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টায় বগুড়া থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে করে নেতাকর্মীরা যাত্রা করবেন। এসব ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী ঢাকায় যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের জন্ম জেলা বগুড়া হওয়ায় এখানকার নেতাকর্মীদের মধ্যে আলাদা উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাবেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং জনদুর্ভোগ এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম বা উচ্ছৃঙ্খলতা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের নেতা দেশে ফিরছেন। এ কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ইউনিট থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বগুড়া থেকে অর্ধ লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে আমরা ধারণা করছি। ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সবাই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখেই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকেই বাসগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাসচালক শাহিন মিয়া বলেন, আমরা সবাই দায়িত্বশীলভাবে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় পৌঁছানোর পর নেতাকর্মীদের অবস্থান, যাতায়াত ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জেলা বিএনপি সমন্বয় করছে। পাশাপাশি পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
আরএআর