বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

বছরের শেষ দিনের সূর্যাস্ত উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটকের সমাগম হয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে বসে বছরের শেষ বিকেল কাটান। পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্র ছিল কুয়াকাটার অনন্য সূর্যাস্ত। লাল-কমলা আভায় রাঙানো আকাশ ও সাগরের মিলনমুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত ছিলেন ভ্রমণপিপাসুরা। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই সমুদ্র সৈকত, জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর বন ও আশপাশের এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, আশানুরূপ পর্যটক না হলেও তারা হতাশ নন।
পর্যটকদের আগমনে ব্যস্ত সময় পার করছে হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। হোটেল মালিকরা জানান, অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে ৫০ শতাংশের বেশি বুকিং হয়ে গেছে। খাবারের দোকান, হস্তশিল্প ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরাও ভালো বিক্রির আশা করছেন। তবে শতভাগ পর্যটক না হওয়ার কথাও জানান অনেক ব্যবসায়ী।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আশা করেছিলাম থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কুয়াকাটায় আশানুরূপ পর্যটক থাকবে। তবে আশানুরূপ পর্যটক না হলেও কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যটক অবস্থান করছেন।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) -এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতি বছরই পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নামে। কিন্তু এ বছরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এর কারণ হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর কারণে কিছু পর্যটক কম আসা। তবে সামনের দিকে কুয়াকাটায় আরও বেশি পর্যটকের উপস্থিতি বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।
কুমিল্লা থেকে কুয়াকাটায় আগত পর্যটক রাব্বি ছিদ্দিক বলেন, প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন নগরীগুলোতে গিয়ে উদযাপন করি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর কুয়াকাটায় এসেছি এবং বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করেছি। তবে আজ রাতে নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে উৎসব করতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক চলায় সেটি করার সুযোগ নেই।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৈকতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং লাইফগার্ড টিম প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। সর্বোপরি কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
এসএম আলমাস/এআরবি