প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেলেন জাবি অধ্যাপক

১৩৩ বছর পরে প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান। গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে এই বাদুড়ের সন্ধান পান তিনি।
অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘১৩৩ বছর আগে ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া নামে এক গ্রন্থে সর্বশেষ এই প্রজাপতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না আসলে কত আগে তার সন্ধান পাওয়া যায়। এর নাম বাটারফ্লাই ব্যাট বা পেইন্টেড ব্যাট। বাংলায় কোনো নাম নেই তবে আমরা প্রজাপতি বাদুড় নামেই অভিহিত করছি।’
‘মধুপুর বনে দেখা যাওয়া প্রজাপতি বাদুড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার এবং ওজন সাড়ে চার গ্রাম। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এরা সর্বোচ্চ পাঁচ গ্রাম ওজনের এবং সাড়ে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের হয়ে থাকে। জুন থেকে আগস্ট মাস এদের প্রজনন মৌসুম। এরা বছরে একটি মাত্র বাচ্চা দেয়।’ বলে যুক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, ‘এর আগে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না যে এই বাদুড়ের অবস্থান মিলতে পারে। তবে যেহেতু আমরা এই বাদুড়টির সন্ধান পেয়েছি, সেই জায়গা থেকে ধারণা করছি বাংলাদেশে শালবন এবং এর আশেপাশের এলাকায় পাশাপশি কলাবাগান যে এলাকাতে আছে সেখানে এর আরও অবস্থান মিলতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ছোট পোকামাড় খেয়ে এরা প্রকৃতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। একটার অবস্থান যেহেতু পাওয়া গেছে আমরা ধারণা করতে পারি আরও পাওয়া যাবে। আমাদের গবেষণা চলছে, তার অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট হলে আমরা তার সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে পারব।’
বিশ্বের পাখি ও প্রাণী সম্পর্কিত ওয়েবসাইট অ্যানিমেল ডাইভারসিটিতে বলা হয়েছে, পেইন্টেড ব্যাট-এর ভৌগোলিক এলাকা হচ্ছে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত, দক্ষিণ চীন, শ্রীলঙ্কা, হায়ানান থেকে মালায়া, সুমাত্রা, জাভা, বালি, লেজার সুন্দা এবং মলুচ্চা দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়া উইকিপিডিয়াতে এ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের নামও উল্লেখ রয়েছে।
এমএসআর