নদীতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় টানা চার ঘণ্টা অভিযানের পর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মাইনুর রহমান মুন্না (২৭) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাইনুর রহমান মুন্না চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
মুন্নার বন্ধু আব্দুল মোমিন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পাশেই মাথাভাঙ্গা নদীর ধারে বসে মাইনুর রহমান মুন্না ও সবুজসহ আমরা তিনজন গল্প করছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি নামলে মুন্না ও সবুজ সাঁতার না জানলেও পানিতে নামে। এ সময় নদীতে পানি বেশি থাকায় মুহূর্তের মধ্যে তারা দুজন তলিয়ে যায়। আমি আশপাশের লোকজনকে ডাকলে তারা সবুজকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও মুন্নাকে উদ্ধার করা যায়নি।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মুন্নাকে না পেয়ে খুলনা থেকে ডুবুরি দল আসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একই স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
মুন্নার চাচা কামরুজ্জামান বলেন, মুন্না সাঁতার জানতো না। সে গত রোজার ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। তার বাবা চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুন্না ছিল বড়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার বাবা-মা পাগল প্রায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অনেক চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করতে না পেরে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্যদের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সাঁতার না জানায় এক যুবক মাথাভাঙ্গা নদীতে নিখোঁজ হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আফজালুল হক/আরএআর