দিনাজপুরে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে
বিয়ের জন্য ছায়ামণ্ডপ, পুষ্পমাল্য, গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুরু হলো উলুধ্বনি আর আশীর্বাদ। ওদিকে চলছে অতিথি আপ্যায়ন। সিঁদুর দান ও পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে সাতপাকে ঘুরছে বর-কনে। তবে সব আয়োজন ঠিক থাকলেও বর ও কনে ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গি।
দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ীর হিরা বাগানে মন্দিরে রোববার (২৫ জুলাই) রাতে বৃষ্টির আশায় এমন বিয়ের আয়োজন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রমতে সব বিধি মেনে মহা ধুমধাম করে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
শুধু তা-ই নয়, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী।
দিনাজপুরের প্রধান ফসল ধান। শ্রাবণের ১০ দিন পার হয়েছে। অথচ ভরা বর্ষা মৌসুমেও নেই বৃষ্টির দেখা। তাই খরার কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে আমনের আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষকরা। বৃষ্টির অভাবে বর্ষাকালেও ডাঙ্গা ও কছিু আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে বছর তাদের এলাকা অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে, সেই বছরই তারা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের এই ধরনের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এটিকে ‘ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গির বিয়ে’ বলা হয়।
১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বংশপরম্পরায় তারা এই রীতি পালন করে আসছেন বলে দাবি করেছেন তারা। তাদের বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বৃষ্টি হয়।
এনএ