বিয়ের দিনে ছুরিকাঘাতে হত্যা, অবশেষে গ্রেফতার সাখাওয়াত

রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ের দিনে ছুরিকাঘাতে মাদরাসাছাত্রী তারমিনা বেগম ফুলতি হত্যা মামলায় আসামি সাখাওয়াত হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পাঁচ দিন আত্মগোপনে থাকলেও সাখাওয়াতের শেষ রক্ষা হয়নি।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে ওই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, সোমবার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর এলাকার অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে ফুলতি হত্যা মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে রংপুরে আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার (২৮ জুলাই) প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মাদরাসাছাত্রী ফুলতিকে ছুরিকাঘাত করে সাখাওয়াত হোসেন। টানা ৪ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার (১ আগস্ট) সকালে মারা যায় ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সাখাওয়াত হোসেনের নামে প্রথমে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। কিন্তু ফুলতির মৃত্যুর পর ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বড় বোনের শশুরবাড়ির আত্মীয়তার সূত্র ধরে তারমিনা বেগম ফুলতির সঙ্গে সাখাওয়াত হোসেনের পরিচয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই যুবক। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি ফুলতি। ২৮ জুলাই বুধবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। ওই দিন বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করার কথা ছিল।
বিয়ের সংবাদ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার ভোরে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর থেকে উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বদরগঞ্জে ফুলতিদের বাড়ি আসেন সাখাওয়াত। ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজার সামনেই ফুলতিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় ফুলতি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে সাখাওয়াতকে ধাওয়া দিলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার (০১ আগস্ট) সকালে মারা যান ফুলতি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানো গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর