বাগেরহাটে বেড়িবাঁধ কেটে বৃষ্টির পানি অপসারণ

বাগেরহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে ভারী বর্ষণে আটকে থাকা পানি অপসারণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রামের কালিয়ারখাল এলাকায় এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে বেড়িবাঁধের মাটি কেটে এই পানি নামানোর কাজ শুরু হয়।
এ সময় শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাতসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বেড়িবাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পানিবন্দি মানুষ।
২৭ জুলাই দুপুর থেকে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে বাগেরহাটের বেশিরভাগ উপজেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সব থেকে বেশি জলাবদ্ধতা হয় শরণখোলায়। বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেটের অভাবে পানি নামতে না পাড়ায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা পানি নামানোর উদ্যোগ নিলে উপজেলা প্রশাসন বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করে।
স্থানীয় জাকির হোসেন, হানিফ ও জুয়েল মীরসহ কয়েকজন বলেন, বেড়িবাঁধ আমাদের জন্য খুবই দরকার। কিন্তু বেড়িবাঁধে প্রয়োজনীয় স্লুইসগেটের অভাবে ঠিকমতো পানি নামতে না পাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শরণখোলায়। সাত দিন পরে আজ প্রশাসন এই বেড়িবাঁধ কেটে আমাদের জলাব্ধতার হাত থেকে রক্ষা করল। তবে এটাই স্থায়ী সমাধান নয়, এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা করে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
ইউএনও খাতুনে জান্নাত বলেন, সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলায় ৫৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতায় ফসলের মাঠসহ এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেট না থাকায় পানি ঠিকমনো নামতে পারছিল না। যার ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বাঁধ কেটে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করেছি।
উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে শরণখোলা উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নয়টি স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানে পাইপ বসিয়ে দ্রুত পানি নামার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।
তানজীম আহমেদ/এমএসআর