সাভারে এক লেন বন্ধ করে সেতু সংস্কার, ৩ সড়কে ভোগান্তি

এক লেন বন্ধ করে সাভারের একটি সেতুতে সংস্কার কাজ চলায় বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ির ধীরগতিসহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের সালেহপুর এলাকায় সালেহপুর সেতুর নিচের গার্ডারে (বিম) ফাটল ধরায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পরে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর থেকে এক লেন বন্ধ করে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। এতেই পুরো সাভারে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন আব্দুস সালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পৌর নির্বাচন ঘিরে দুইদিন ছুটি ও সালেহপুর সেতুর একটি লেন বন্ধ থাকায় এ ধরনের ছোট ছোট যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে যানবাহনের ধীরগতিও লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি জানান, লেনটি বন্ধ হওয়ায় সাভারের আমিনবাজার থেকে সালেহপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার, নবীনগর থেকে বাইশ মাইল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার, পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে বাইপাইল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। এছাড়াও আশুলিয়া বাজার থেকে ধউর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে যানজট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এমনিতেই বৃহস্পতিবার একটু গাড়ির চাপ থাকে। তাতে দুই দিনের ছুটির কারণে গাড়ির চাপ একটু বেড়েছে। আশা করছি যানজট দ্রুত নিরসন করা সম্ভব হবে।
ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের চালক তারা মিয়া জানান, হঠাৎ এতো যানজটের কারণ বুঝতে পারিনি। একই জায়গায় বসে ছিলাম এক ঘণ্টারও বেশি। পরে শুনেছি সালেহপুর সেতুর এক লেন বন্ধ। শুনেছি এ রকম প্রায় ২১ দিন থাকবে। এই কদিন আমাদের একটু কষ্ট করতেই হবে। তাহলেই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে পারবো।
ইতিহাস পরিবহনের যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, গণবিজ্ঞপ্তির কথা আমার জানা ছিল না। জানলে এক ঘণ্টা আগে বাসা থেকে রওনা দিতাম। তাহলে অফিসে সময়মত পৌঁছাতে পারতাম। আজকের পর থেকে সময় থাকতেই বের হতে হবে।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের সহকারী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানান, সেতুটি দিয়ে যান চলাচল করলে অনেক বেশি ক্ষতি হবে। যে কারণে গার্ডারের ফাটলের পাশটায় আমরা গাড়ি বন্ধ করে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সেতু সংস্কারে ২১ দিন সময় লাগতে পারে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেতুর একপাশ বন্ধ রেখে অপর পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হবে।
আরএআর