বন্ধ মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ সুযোগে কোথাও কোথাও শ্রেণিকক্ষে পালন করা হচ্ছে গরু, আবার কোথাও খেলার মাঠে চাষ করা হচ্ছে ধান। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায়। সেখানে মাঠে রোপণ করা হয়েছে ধান। এতে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা থেকে। বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ।
আব্দুল কাদের নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আর সেই সুযোগে মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ করছে কর্তৃপক্ষ। এতে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি না। অফিস সহকারীর অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি। তাছাড়া মাদ্রাসা বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে না।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে ধান রোপণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসাটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। করোনার কারণে বন্ধ পড়ে রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন। এতে সমস্যা তো দেখছি না।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ধান চাষ করার কোনো সুযোগ নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাহিদ রেজা/এসপি