গাইবান্ধায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা

ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধার পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোমরনই কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়রি ) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় সরকারি একটি গাড়িতে আগুন ও র্যাব ও পুলিশের ৪টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গণনা না করে এবং ফলাফল ঘোষণা না করেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ও নির্বাচনী অফিসের লোকজন ব্যালট ও মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন অভিযোগে মেয়র পদপ্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ারের সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে একটি গাড়িতে আগুন দেন। তারা পুলিশ ও র্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
পরে পুলিশও কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মেহের ও সেলিম নামের দুই কর্মীও আহত হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, ওই কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতির সময় লোকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তবে ব্যালট বা কোনো সরঞ্জাম এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এমএসআর