পাবনায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপরে

উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে পাবনায় যমুনা নদীর পানি বাড়লেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় উঠতি নানা ফসল ও সবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি বেড়ে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বড়াল নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বড়াল ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে, পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, বেড়া, সুজানগরসহ কয়েকটি উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সবজি ও ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় নিত্যপ্রযোজনীয় কাজে অসুবিধা হচ্ছে। কিছু স্থানে ভাঙন ও পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী মানুষ তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, প্রতিবার বর্ষার সময়ে পদ্মা ও যমুনা নদী ভয়াল রূপ ধারণ করে। রাতের আঁধারে আমাদের জায়গা-জমি নদীতে হারিয়ে যায়। ভাঙন রোধ করা না গেলে ঘরবাড়ি হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।
ইতোমধ্যে বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া, নাকালিয়া, সুজানগরের নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, মালিফা, ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা, সাড়া ও পাকশী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসল ও সবজি খেতের।
এ ছাড়া পাবনা সদরের আশ্রতোষপুর, বলরামপুর ও রানীনগর ভাঙনকবলিত এলাকা। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওই সব এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, পানি বৃদ্ধি বা ভাঙনের চিত্রটা এখনও ত্রাণ দেওয়ার মতো নয়। তবে সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যাবে।
রাকিব হাসনাত/এসপি