তীব্র ভাঙনে দিশেহারা শিলার চরের মানুষ

পদ্মার প্রবল স্রোতে ভাঙনের কবলে দিশেহারা চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের শিলার চরের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে সেখান থেকে অর্ধশতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে আর্তনাদ করছেন চরবাসী। আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন এদিক সেদিক।
বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন অসহায় মানুষগুলো। নতুন করে মাথা গোজার ঠাঁই তৈরি এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাবেক নারী সদস্য শাহিদা বেগম বলেন, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন ভাঙনের মুখে পড়ে। আমি নিজেও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। বেশ কিছু বছরে এখানকার উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা, সাইক্লোন সেন্টার, ইউনিয়ন পরিষদ, মসজিদসহ হাজার হাজার বসতঘর নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী বলেন, বর্ষার শুরুতেই শিলার চরসহ অন্যান্য চরে ভাঙন শুরু হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এ মুহূর্তে ভাঙনকবলিত মানুষদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও নগদ অর্থের প্রয়োজন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, আমরা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি জেলা প্রশাসক মহোদয় নিজে গিয়ে সেখানে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করবেন।
শরীফুল ইসলাম/এসপি