যানজট নিরসনে কঠোর হচ্ছে মসিক

নগরীর যানজট নিরসনে এবার কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি বলেন, 'যানজট নিরসনে আমরা দীর্ঘ সময় ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তর ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি এবং নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সিটির নাগরিকদের জীবন সহজীকরণে এবং যানজট নিরসনে এখন কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মসিকের শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। সিটি এলাকার যানজট নিরসনকল্পে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশামালিক এবং চালক সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, 'অটোরিকশা এবং রিকশার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা দুইটি। একটি জাল লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা এবং অপরটি রং পরিবর্তন করে রাস্তায় অটোরিকশা নামানো।'
মেয়র আরও বলেন, 'জাল বা লাইসেন্সবিহীন কোনো রিকশা বা অটোরিকশা পাওয়া গেলে ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রং পরিবর্তন করে কেউ গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রেখে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মোটা চাকার রিকশা চলাচলও রংয়ের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ১৫ দিন সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হবে। এরপর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ-প্রশাসন ও সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগে সিটি করপোরেশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'
এছাড়াও সিটি মেয়র যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং সিটি সচিব রাজীব সরকারের নেতৃত্বে একটি কমিটির রূপরেখা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, দ্রুতই এ কমিটি কার্যকর হবে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র টিটু বলেন, 'আমরা বেড়িবাঁধের পাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছি। এটি প্রশস্ত করা এখন সময়ের দাবি। এটিও আমরা দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহযোগিতা কামনা করবে। যানজট নিরসনে পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ডের পাশে আমরা পুলিশ বিভাগের অনুরোধে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছি, যাতে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা যায়। রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রাখা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।'
সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সিটি কর্পোরেশন সচিব রাজীব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান মিয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব উল আহসান, সহকারী কমিশনার শাহাদাত হোসেন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিই আজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআর