নাব্যতা সংকটে পদ্মায় আটকা ৪০ কার্গো

নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌবন্দর থেকে পাবনার নগরবাড়ী হয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট। নাব্যতা সংকট ও অসংখ্য ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথটি বন্ধ হয়ে গেছে।
নৌপথটি বন্ধের একমাস অতিবাহিত হলেও সচল করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ৪০টি কার্গো রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌবন্দরের কাছে আটকা পড়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে দৌলতদিয়া বন্দরে জাহাজগুলো নোঙর করে ছোট ছোট বলগেটে সার, কয়লা, ক্লিকার, সিমেন্ট নামিয়ে জাহাজগুলোকে আবার বিভিন্ন স্থানে ফিরে যেতে হচ্ছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সরেজমিন নৌপথ এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া প্রস্তাবিত ৭নং ফেরিঘাটের পাশে বাহিরচর এলাকায় পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে চট্টগ্রাম ও মোংলা থেকে থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ৪০টি ছোট বড় কার্গো জাহাজ। কার্গোগুলো থেকে ছোট ছোট বলগেটে ইউরিয়া সার, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালসহ অনান্য পণ্য নামানো হচ্ছে।
কয়েকজন কার্গো জাহাজের মাস্টার বলেন, দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। এ নৌপথ দিয়ে পণ্যবোঝাই ১২ থেকে ১৩ ড্রাফটের কার্গো চলাচলে ১৫ ফুট গভীরতার পানি দরকার হয়। অথচ বর্তমানে নৌপথে মাত্র ৬ থেকে ৮ ফুট পানি রয়েছে। যে কারণে দৌলতদিয়া এসে কার্গোগুলোকে আটকে থাকতে হচ্ছে।
মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের এম ডি রোদেলার মাস্টার মো. আরিফুজ্জামন বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে এ নৌপথটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন নৌপথ দিয়ে ছোট ছোট বলগেট চলাচল ছাড়া কার্গো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মালিকপক্ষের চরম ক্ষতি হয়। বিভিন্ন বন্দর থেকে ছেড়ে আসার ২১ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে পুনরায় বন্দরে ফিরে না যেতে পারলে দ্বিগুণভাড়া পরিশোধ করতে হয়। বিশেষ করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে শ্রমিক সংকট এবং অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে আমাদের ক্ষতি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাস্টার বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর ড্রেজিং করার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই নৌপথটি ড্রেজিং করা হয় হয় না। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নৌপথে যোগাযোগের জন্য এই রুটটি সচল রাখা দরকার।’
দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথ নিয়ে বাংলাদেশ অ্যভন্তরীণ নৌপরিরহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সুলতান আহম্মেদ খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
এমএসআর