লক্ষ্মীপুরে হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন, মাদকে একজনের ১০ বছর সাজা
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মমিন উল্যাকে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
এদিকে একই আদালত অন্য একটি মাদক মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন দুটি রায় ঘোষণার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায়ের সময় হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামি তারেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যাবজ্জীবনের আসামি মোহন সদর উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে ও তারেক রশিদপুর গ্রামের মো. আবদুল্লাহর ছেলে। মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস টেকনাফের পানখালি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে রামগঞ্জ থেকে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে আসামিরা মমিনকে হত্যা করে। এক পর্যায়ে তারা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সড়কের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন নিহতের বাবা রামগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিদের যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেন।
এদিকে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ থেকে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের দালালবাজার থেকে গিয়াসকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে ১ হাজার ১২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি
