পাটুরিয়ায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ, পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যান

সাপ্তাহিক ছুটি ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকা এবং পাটুরিয়ায় ড্রেজিংয়ের কারণে ৪ নং ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। এ কারণে ঘাট পার হতে আসা যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক মিলে সহস্রাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

যানবাহনের তুলনায় পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও ঘাট-সংকটের কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এতে ফেরিঘাট এলাকায় বাড়ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ৩০ মিনিটের নৌপথ পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা। 
 
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দিন রাসেল বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ এসব যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।

ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী হামিদুর রহমান বলেন, বছরের প্রায় সময়েই এই ঘাট পারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ে কর্তৃপক্ষ আগাম প্রস্তুতি নিলেই তো আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঘাটের এই পরিস্থিতি। ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।

গোল্ডেন পরিবহনের যাত্রী তিথি সাহা বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি তো রাস্তা আর ফেরিঘাটেই কেটে যাচ্ছে। গরমের কারণে বাসে বসে থাকাও অনেক কষ্টের। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছি।

ট্রাকচালক সুমন মিয়া বলেন, বাস ও ছোট গাড়ির চাপে আমরা তো পার হওয়ার সুযোগই পাচ্ছি না। প্রায় দুই দিন ধরে ঘাটে আটকে আছি। ঠিক সময়ে মালামাল পৌঁছে দিতে না পারলে চাকরিও থাকবে না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা বলেন, পূজার ছুটির কারণে সকাল থেকে ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ রয়েছে। নদীতে নাব্যসংকট নিরসনে ডেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় পাটুরিয়ায় ৪ নং ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। মূলত ঘাট সংকটের কারণেই অপেক্ষমাণ যাত্রী ও যানবাহন চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহামন বলেন, ঘাটে আটকে থাকা যাত্রী ও যানবাহনগুলো পারাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নৌপথে ১৯টি ফেরি দিয়ে এসব যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ায় পারাপারে সময় বেশি লাগছে। সবশেষ পাটুরিয়ায় বাস ও ছোট গাড়ি এবং পণ্যবাহী ট্রাক মিলে সহস্রাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
সোহেল হোসেন/এনএ