রংপুর অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ভারতের উজান থেকে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে রংপুর অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজনকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং এ অঞ্চলের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় চার হাজার প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি খাবার প্যাকেটের মধ্যে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবণ রয়েছে। এছাড়া গোখাদ্য ও শিশুদের খাবারের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরে তিনি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর মাঝিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন ডা. এনামুর রহমান।
পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর দিন সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই এলাকায় শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের ২০০ বান্ডিল টিন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য তাবুও করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নতুন টিন দিয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজ অব্যাহত আছে। শিগগিরই এসব ঘরবাড়ি নির্মাণ শেষ হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ বিভাগ) আবু মারুফ হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জুয়াদ্দার, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর