মুক্ত আকাশে ডানা মেলল ১৯০ পাখি

গোপন সংবাদে ফেনী থেকে পাখির একটি চোরাচালান আসার খবর পেয়ে ঢাকার সাভার বাইপাসসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা। উপস্থিতি টের পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করে অন্য সড়ক ধরে সাভারের ইটাখোলা এলাকায় নিজ বাড়িতে পৌঁছায় তারা।
জানা যায়, রোববার রাত আড়াইটার দিকে পাচারকারীদের বাড়িতে হানা দেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের দরজার আটকে ভেতরে বসে থাকে পাচারকারীরা।
এ সময় তারা কিছু পাখি হত্যা ও কিছু পাখি জানালা দিয়ে ছেড়ে দেয়। রাতভর চেষ্টার পর দরজা খুলাতে না পারায় ভোরে পুলিশের সহযোগিতায় ঘরে ঢুকে খাঁচাবন্দি ২১৫টি বিভিন্ন জাতের পাখি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারকারীরা টিন কেটে ছিদ্র করে পালিয়ে যায়।
রাতভর অভিযানের পর সোমবার (১ নভেম্বর) উদ্ধার ৬০টি জীবিত টিয়া, ১০৫টি মুনিয়া ও ২৫টি ঘুঘু মিরপুর জাতীয় উদ্যানের মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এ সময় তারা মৃত অবস্থায় ২৫টি টিয়া উদ্ধার করে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, ফেনী থেকে রোববার রাতে সাভারে পাখির চালান আসছে এমন খবর পেয়ে সাভার বাইপাস এলাকায়সহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়া হয়। পরে সাভারের ইটাখোলা এলাকার জহিরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি চোরাচালানকারিরা পালিয়ে যায়। পরে কক্ষ থেকে ৬০টি টিয়া, ২৫টি মৃত টিয়া, ১০৫টি মুনিয়া ও ২৫টি ঘুঘু উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে পাখিগুলোকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। অভিযানকালে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট বায়োজিদ বোস্তামি, আব্দুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।
শিহাব খান/এমএসআর