সাভারে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেফতার ১

সাভারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জুয়েল মিয়া (২৭) নামের এক বালু-শ্রমিককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে প্রিজন ভ্যানে করে অন্য আসামিদের সঙ্গে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে (১ নভেম্বর) রাতে বিরুলিয়ার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া পিরোজপুরের জেলার নেছারাবাদ থানার জিলবাড়ি গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে।
এজাহারভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন জুয়েলের ভাই রুবেল (৩০), কালাম মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (৩৫), বাবুর্চি ইলিয়াস মিয়া (৩৫), কবির (২৫), সজল (২৪), তোতা (৩৫), ফয়সাল (৩০), লোকমান (৩৫) ও লালটু মিয়া (৪৫)। তারা সবাই বিরুলিয়া এলাকার লাল্টু মিয়ার বালুর ড্রেজারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন শিল্প পুলিশ-১-এর কনস্টেবল নূর হোসেন ও সৌরভ। তারা দুজনই সেখানে সাদাপোশাকে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের পঞ্চবটির বিরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানিফের চায়ের দোকানে চা পান করার জন্য বসেন শিল্প পুলিশের দুই কনস্টেবল। এ সময় প্রায় ১২ জন বালু-শ্রমিক চা পান করা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পরে ওই দুই কনস্টেবল তাদের পরিচয় দিয়ে তর্ক থামানোর চেষ্টা করেন। পরিচয় জানতে পেরে পুলিশ সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। দোকানের পাশে থাকা বাঁশের ও কাঠের লাঠি দিয়ে প্রায় ১২ জন বালু-শ্রমিক পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন।
এ সময় গ্রেফতারকৃত জুয়েলের লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য নূর হোসেনের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে দ্রুত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে সাভার থানায় মামলা করেন পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সৌরভ কুমার। তিনি বলেন, আমরা দুই পুলিশ সদস্য দাফতরিক কাজ শেষে পুলিশ সদর দফতর থেকে আশুলিয়া আসছিলাম। আসার সময় আমরা বিরুলিয়া স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন এ ঘটনা ঘটে।
সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে পাঠাই। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাহিদুল মাহিদ/এনএ