হাসপাতাল থেকে রোগীকে অপহরণের হুমকি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল দালাল চক্র। পরে পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট দেওয়ার নামে দাবি করে আরও অর্থ। অন্যথায় রোগীকে অপহরণের হুমকি দেয় রোগীর স্বজনদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৮ নভেম্বর) দিনভর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৫ দালালকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও দালালিতে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরেই রামেক হাসাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে এনে জম্মি এবং অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন শাহজাহান আলী (২৮), খাতিজা তিশা (২৫), আব্দুল হান্নান (৫০), শামসুজ্জোহা ভুট্টু (৪৫), জিম (২০), সুমন (২৫), হাদিউল ইসলাম (৩৫), নাইম হোসেন (৩২), প্রিয়া (৩৫), তাহমিনা বেগম (৩৭), আসমা বেগম (৪৫), রিতা (৩২),মুকুল হোসেন (৪০), সোহানুর রহমান (২৫) ও পলাশ (৫০)। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
নগর পুলিশ জানায়, গত ৬ নভেম্বর সকালে শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে মেয়েকে রামেক হাসপাতালে নেন জেলার তানোর উপজেলার তেলুপাড়া ঝুমারপাড়া এলাকার আব্দুল খালেক। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে পাঠান। পরে স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুল খালেক বহির্বিভাগে গিয়ে স্লিপ জমা দেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন কয়েকজন দালাল। তারাই রোগীকে পরীক্ষার নামে হাসপাতাল থেকে বের করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান।
সেখানে রক্ত পরীক্ষা এবং বুকের এক্স-রে করানো হয়। পরীক্ষা বাবদ ৩ হাজার ৫০ টাকা আদায় করে দালাল চক্র। আবার পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার নামে আরও ২ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেলে আব্দুল খালের স্ত্রী-কন্যাকে অপহণের হুমকি দেয়।
দালালদের হাতে-পায়ে ধরে সেই যাত্রায় রক্ষা পান ওই ভুক্তভোগী। পরে মেয়ের চিকিৎসা শেষে নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ