সাংবাদিক দেখেই ক্ষেপে গেলেন আ.লীগ নেতা

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল ও নবীনগর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের কারণ হিসেবে ‘সঠিক প্রার্থীকে’ মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়টি এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠে নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নে যুবদল নেতা আজহারুল হক চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে। প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার স্বাক্ষরিত প্রার্থী তালিকায় আজহারুলকে গোয়ালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উল্লেখ করা হয়।
অথচ তিনি নাসিরনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য ও গোয়ালনগর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। আর গোয়ালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন কিরণ মিয়া। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আজহারুলের মনোনয়ন বাতিল করে কিরণ মিয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য সোমবার (২৯ নভেম্বর) জেলা শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে তৃণমূলের ভোট নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এতে ভোট দেন।
তবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুপুরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে যান আরটিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুল রহমান পায়েল, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি এবং ঢাকা পোস্ট ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের জেলা প্রতিনিধি আজিজুল সঞ্চয়। তারা তৃণমূলের ভোটের বিষয়ে প্রার্থীদের কথা বলতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি উচ্চস্বরে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে সাংবাদিকদের কাজ নেই, বের হয়ে যান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আল মামুন সরকার বলেন, আমি তাদের (সাংবাদিক) বলেছি, সকালে আমাদের উদ্বোধনী অধিবেশন সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এখন যা হচ্ছে তা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন সংবাদ প্রকাশ করার মতো কোনো তথ্য নেই। তাই এখানে কোনো প্রয়োজন নেই, দয়া করে চলে যান।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি