কুষ্টিয়ায় অধ্যক্ষের মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর থেকে গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক কলেজ অধ্যক্ষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গোলাম মোস্তফা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়ার ভোমরগাঁ এলাকার বাসিন্দা। তিনি তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। গোলাম মোস্তফা কমলাপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুরের আফজাল হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে চার পাঁচ মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক আফজাল হোসেন ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ওই অধ্যক্ষের মরদেহ দেখতে পায়।
কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, ওই শিক্ষকের ঘরে ঢুকে বাথরুমের সামনে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় বাথরুমে পানির কল ছাড়া ছিল। নিহতের দুটি মুঠোফোন বন্ধ অবস্থায় টেবিলের ওপর ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নাইমুল ইসলাম বলেন, মোস্তফার বন্ধ মুঠোফোনে চার্জ দিয়ে চালু করা হয়। পরে নিহতের বোনের মেয়ে ওই ফোনে কল করে জানান, ফোন বন্ধ থাকার কারণে গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) থেকে পরিবারের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, অর্ধ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/এসপি