আমরা এখন নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারব

‘আমাদের স্কুল খুলেছে অনেক দিন আগে। তবে ভয়ে ভয়ে স্কুলে আসতাম। কারণ করোনা মহামারি তো এখনো শেষ হয়নি। অবশেষে আজকে টিকা (ভ্যাকসিন) দিতে পারলাম। টিকা নিয়ে খুব ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, এখন থেকে আমরা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারব।’
টিকা দিতে পেরে এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করছিল বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ত্বাসীন মেহেযাবিন রিথী। শুধু রিথী-ই নয় শিক্ষার্থী দিয়ানা, ইমন, রাকিবসহ সব শিক্ষার্থীই টিকা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমায়। শুধু শিক্ষার্থী নয়, টিকাদান কার্যক্রমে আনন্দিত ছিলেন অভিভাবকরাও।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, ইউএনও মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মিরাজুল করিম প্রমুখ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এদিন বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ হাজার ফাইজারের টিকা মজুত রয়েছে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগে।
শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে আমরা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকেও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পরিচালনা কমিটি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসবেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে টিকা দিতে পারে এজন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। অপেক্ষার জন্য শেড ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ফাইজারের ৫০ হাজার টিকা পেয়েছি। টিকাদান শুরু হয়েছে। আশাকরি স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে সুষ্ঠভাবে টিকাদান সম্পন্ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আমরা প্রায় ১২ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
তানজীম আহমেদ/এমএসআর