সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় র্যাবের ৫ স্থায়ী ক্যাম্পের দাবি জেলেদের

সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় র্যাবের পাঁচটি স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন উপকূলীয় জেলে ও মৎস্যজীবীরা। সাগরের জলদস্যু দমনে র্যাবের ভূমিকা আরও জোরালো করতে এ দাবি জানান তারা।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পাথরঘাটা লঞ্চঘাটে জেলেদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। সভায় জেলে ও মৎস্যজীবীদের পক্ষে র্যাব ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা গোলাম চৌধুরী।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা গোলাম চৌধুরী বলেন, সাগরের জলদস্যু দমনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে র্যাব। বিভিন্ন সময়ে র্যাবের অভিযানের কারণে গত তিন বছরে নির্বিঘ্নে সাগরে মাছ শিকার করতে পেরেছেন জেলেরা। তবে বর্তমান সময়ে জলদস্যুরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় জেলেপল্লিগুলোয় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মহাপরিচালকের কাছে সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতে পাঁচটি স্থায়ী ক্যাম্প দাবি করবেন তারা।

র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেন। আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। এ ছাড়া প্রতিবছর দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবস পালন করি। জলদস্যুদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। তবে কেউ যদি ভালো পথে ফিরতে চায়, আমরা তাদের সহায়তা করব।
জেলেরা জানিয়েছেন, বারবার ক্যাম্প স্থাপনের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলদস্যু দমন এবং জেলেদের নিরাপত্তার জন্য সুন্দরবন ও পাথরঘাটায় ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে স্থায়ীভাবে ক্যাম্প স্থাপন করলে আমরা নিশ্চিন্তে সমুদ্রে জাল ফেলতে পারব। এ ছাড়া জলদস্যুর হামলায় প্রাণ হারানো জেলেদের পুনর্বাসনের দাবি করে র্যাব মহাপরিচালকের কাছে।
জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও দুপুর ২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ