জমিসংক্রান্ত বিরোধে মেয়র-কাউন্সিলরসহ ২৬ জন কারাগারে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সার্ভেয়ারসহ ২৬ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের অভিযোগে হওয়া মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এমএম হুমায়ন কবির এ আদেশ দেন।
রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি খান, দুইজন কাউন্সিলর মো. মুন্না ও মো. সাদেক আলী এবং পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলামসহ ২৬ জন আসামির সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মারধর ও জমি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগে মামলা করেন।
এপিপি আঞ্জুমান আরা বলেন, রহনপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় মারধরের অভিযোগ এনে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমানসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার দুপুরে মেয়রসহ ২৬ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালতের বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাদী নাজমা বেগম মামলার অভিযোগে বলেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মেয়র মতিউর রহমান মতি খানসহ তার লোকজন নিয়ে নাজমা বেগমের নিজস্ব জমিতে হামলা করে। এ সময় তার ছেলেদেরকে মারধর করে মেয়রের লোকজন। এ ছাড়া পাকা দেওয়াল ভেঙে পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায় মেয়রের লোকজন। হামলার পর মেয়রের বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন নাজমা বেগম। পরে এনিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার আবেদন করেন নাজমা বেগম।
নাজমা বেগমের বড় ছেলে নাজমুল ফেরদৌস মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জমির ওপর মেয়র অহেতুক জুলুম করেছে। এমনকি সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হামলা করে আমাদের সীমানা প্রাচীর ভেঙেছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। এসবের পর প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছিল আমাদের পরিবারের সদস্যদের। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। পরে মামলা করা হলে আজকে আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত সেতাব উদ্দিনের ছেলে আকবর আলী, মৃত ইসমাইল কাদরীর ছেলে জামিল আলম কাদরী, তার ভাই বকুল কাদরী, মুকুল কাদরী, একই এলাকার মৃত সাদিকুলের ছেলে মো. নূর, মৃত ভদু মণ্ডলের ছেলে অনু, মাদরাসা মোড়ের সাত্তারের ছেলে আতিক, একই এলাকার নাদিম ওরফে টুটুল, মুনুর ছেলে বুলু, কলোনীমোড়ের মৃত কসিমুদ্দিনের ছেলে নাজু, উদয়নগরের বাবলুর ছেলে কাশেম, লতিফের ছেলে রুবেল, মালেকের ছেলে শাহিন, বড়বাজারের মুনসুরের ছেলে পরাগ, যাতাহারার আমিনের ছেলে শরীফ, আফজালের ছেলে মাহিদুর, জালালের ছেলে রফিক, মৃত ভন্ডুল মণ্ডলের ছেলে লুথু মণ্ডল, কাউয়ুম মাস্টারের ছেলে সাউন, মেসাহাক খানের ছেলে হাবিবুর হবি, আফজালের ছেলে রবি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম/আরআই