এমসিতে সত্য গোপনে ৬ চিকিৎসকের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের ছয়জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (প্রথম আদালত) আয়েশা বেগমের আদালতে সাজন রবিদাস নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
মেডিকেল সার্টিফিকেটে (এমসি) সত্য গোপন করার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি। তার বাড়ি জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায়।
মামলার আসামিরা হলেন— জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডা. রানা নূরুস সামস।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা সাজন রবিদাসের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সাজন রবিদাস ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ জন গুরুতর আহত হন।
এদের মধ্যে সাজন রবিদাসের অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনার পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা করা হয়।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে ডা. এ বিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সাইফ ও ডা. সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী এমসি না দিয়ে প্রকৃত জখম গোপন করেন।
ওই এমসির বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিলে আদালত গত ৪ নভেম্বর জেলার সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের আরএমওকে তিন দিনের মধ্যে বোর্ড বসিয়ে পুনরায় এমসি দেয়ার নির্দেশনা দেন।
পরবর্তীতে জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস অসামঞ্জস্যপূর্ণ আরেকটি এমসি আদালতে পাঠান। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাকেশ চন্দ্র সরকার বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।এম