টাঙ্গাইলে কতজন টিকা পাবেন, নেই হিসাব

টাঙ্গাইলে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) প্রদান কার্যক্রম। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে একযোগে চলবে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্যে টিকা প্রদান। তবে ঠিক কতজন করোনার টিকা পাবেন সেই তথ্য নেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে। এরআগে জেলায় ১ লাখ ২০ ডোজ করোনার টিকা এসে পৌঁছেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের পাসওয়ার্ড এখনো স্বাস্থ্য বিভাগ পায়নি। তাই জানাতে পারেনি কতজন নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে এবং ব্যানারের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। টিকা কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপের মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রস্তুতি আছে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাবের সাহায্যে নিবন্ধনের সহযোগিতা করবেন। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিবন্ধনের সহায়তা করবেন। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রেও নিবন্ধন করা যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো সরকারি নির্দেশনা কেন্দ্রগুলো পায়নি। নিবন্ধিত ব্যক্তিরা টিকা নেওয়ার ক্ষুদে বার্তা পাচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিবন্ধনের পাসওয়ার্ড না থাকায় জেলায় কতজন করোনার টিকা পাবে সেই তথ্য জানা নেই। ৭ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। অনলাইনে আবেদনকৃত ব্যক্তিদের মাঝে টিকা প্রদান করা হবে। তবে করোনার উপসর্গ থাকলে সেই সব ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে না।
সিভিল সার্জন বলেন, এ ছাড়া জ্বর, কাশি থাকলে তাকেও আগে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে টিকাগ্রহণ করতে হবে। যারা টিকা গ্রহণ করবে তাদেরকেও পরবর্তী সর্তকতাসহ মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। টিকাগ্রহণের পরও মাস্ক পরতে হবে। তবে ৫৫ বছরের উপরে যারা আছেন তাদের আবেদনের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদাভাবে টিকাদানের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতি উপজেলায় ২৫জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকা প্রদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ (ইপিআই) মোট ৬৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঘাটাইল সিএমএইচ হাসপাতালের তিনজন জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া যাদের করোনা পজিটিভ তাদের চিকিৎসা শেষে করোনার নেগেটিভ সনদপত্র দেখে টিকা দেওয়া হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/এমএসআর