দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পিপিই পার্ক করল বেক্সিমকো
করোনা প্রতিরোধী পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন কেন্দ্র চালু করেছে বেক্সিমকো। যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও সর্ববৃহৎ পিপিই পার্ক।
আজ (বুধবার) সাভারের কবিরপুরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত পিপিই পার্কটির উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, পিপিই পার্কের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের পর নতুন কোনো শিল্পে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।
পার্কটি ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও শক্তিশালী করবে
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারের আশাবাদ
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের দাম চারগুণ বেড়েছে জানিয়ে মিলার বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬.৭ বিলিয়ন পণ্য রপ্তানি করে। যা বিগত দশকের তুলনায় দ্বিগুণ। পার্কটি ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এর পরিবেশ ও কমপ্ল্যায়েন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার।
• পিপিই পার্কটি তৈরি হলো মাত্র ছয় মাসে
• ব্যয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার
• ১২ হাজার বর্গফুটে ‘পিপিই সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ল্যাব
• আছে পিপিই তৈরির জন্য সব ধরনের পরীক্ষার সুযোগ
প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বেক্সিমকো অবিচ্ছিন্নভাবে অবদান রেখে চলেছে। পার্কটি তৈরিতে সহযোগিতা করায় ওষুধ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
পিপিই পার্কটি বাংলাদেশকে বিশ্বের পিপিই উৎপাদন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করছে
বেক্সিমকোর সিইও এস নাভেদ হুসাইন
বেক্সিমকোর সিইও এস নাভেদ হুসাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত। পিপিই পার্কটি বাংলাদেশকে বিশ্বের পিপিই উৎপাদন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। ইন্টারটেকের মান নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া আমাদের বিভিন্ন আইনি ও সম্মতিপত্র গ্রহণে সহায়তা করেছে এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে।
বেক্সিমকো সূত্রে জানা যায়, বেক্সিমকো স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের কাছে মাস্ক এবং প্রতিরক্ষামূলক গাউনসহ পিপিই সরবরাহের চুক্তি করেছে।
যেমন হলো পিপিই পার্ক
প্রায় ২৫ একর জায়গাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে পিপিই পার্কটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও স্থাপত্যের সংমিশ্রণে মাত্র ছয় মাসে এটি গড়ে উঠেছে। বেক্সিমকো জানাচ্ছে, পার্কটিতে কাঁচামাল থেকে বিভিন্ন ওজনের লেমিনেটেড ফেব্রিক্সস ও মেল্টব্লোন পদার্থ তৈরি করে পিপিই প্রস্তুত করা হবে।
এখানে জীবাণুমুক্ত ডিজপজেবল আইসোলেশন ও সার্জিক্যাল গাউন, পুনঃব্যবহারযোগ্য আইসোলেশন গাউন, এন৯৫ ক্যাপ টাইপ ও ফোল্ডেবল টাইপ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক ডিজপজেবল স্ক্রাবস, উভেন ও কিটেন সু কভার ও হেডকভার, পুনঃব্যবহারযোগ্য পানিরোধী স্ক্রাবস তৈরি করা হবে।
বেক্সিমকো ও ইন্টারটেকের যৌথ উদ্যোগে পার্কের ভেতর ১২ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ‘পিপিই সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ ল্যাব। এখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। এ ল্যাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মানদণ্ড অনুসারে পিপিই তৈরির জন্য সব ধরনের পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে।
এনআই/এইচকে