খাতুনগঞ্জে কমেছে পেঁয়াজের দাম, ক্রেতা কম
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৭ টাকায়, আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা করে। রমজানকে সামনে রেখে অনান্য বছরের তুলনায় পেঁয়াজের বাজারে ক্রেতা কম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কম। মিয়ানমারের পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা করে। ভারতের পেঁয়াজ মানভেদে ২৪ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়। আর বেলডাঙ্গা, কানপুর ও খাসখালির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকায়। বেলডাঙ্গা ও কানপুরি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। নাসিক পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে বিক্রি মোটামুটি। তেমন তোড়জোড় নেই। রমজানকে সামনে রেখে অনান্য বছর যেমন বেচাকেনা হতো এবছর তেমন নেই। ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
খাতুনগঞ্জের শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একসপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম কমেছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। চীন থেকে আসা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
মেসার্স মহিন ট্রেডার্সের মালিক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনান্য বছর রমজান সমানে রেখে এ সময়ে যে পরিমাণ বেচাবিক্রি হতো এবছর তেমন নেই। রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ঠিক থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।
তিনি আরও বলেন, আজ সোমবার আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, আর চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে, খাতুনগঞ্জে বাজারের মুখে একটি ভ্যানে খুচরায় পেঁয়াজ, আদা বিক্রি করছিলেন আমির উদ্দিন। তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন ৩০ টাকা কেজি, রসুন ১১০ টাকা ও আদা ৭৫ টাকা কেজিতে।
রাকিব আহম্মদ নামের এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। অথচ ৩ মিনিটের দূরত্বে ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। পাড়া-মহল্লার বাজারে তো দাম আরও বেশি।
কেএম/জেডএস
