জমে উঠেছে এলাকাভিত্তিক মার্কেটগুলোও

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৪ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৫ পিএম


জমে উঠেছে এলাকাভিত্তিক মার্কেটগুলোও

ঈদুল ফিতরের সময় কাছাকাছি চলে আসায় রাজধানীর অভিজাত বিপনি-বিতান, শপিংমল থেকে ফুটপাত সব জায়গায় বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে এখন ক্রেতাদের চাপ। যে চাপ এসে পড়েছে এলাকার মার্কেটগুলোতেও।

রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সর্বাধুনিক সব কালেকশনের পাশাপাশি থরে থরে সাজানো আছে বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন সব পোশাক। নিজের জন্য বা পরিবারের অন্য সদস্যদের নতুন পোশাক কিনতে এসব দোকানে ভিড় করছেন স্থানীয় ক্রেতারা। দোকানিরাও যেন বছরজুড়ে এই সময়ের প্রতীক্ষায় ছিলেন, তাদের কথা-চেহারায় তা স্পষ্ট। 

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সুবাস্তু, হল্যান্ড সেন্টার, ব্যাপারি টাওয়ার, প্রিমিয়াম মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে দিনব্যাপী বেচা বিক্রি হলেও সন্ধ্যার পর বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছে।

সুবাস্তু নজরভ্যালী শপিংমলের দেশ ফ্যাশন নামক একটি দোকানের ব্যবস্থাপক সজল আহমেদ বলেন, ১৫ রমজানের পর থেকে আমাদের মার্কেটে বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। স্থানীয় লোকজনই মূলত আমাদের ক্রেতা। দিনব্যাপী ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে, তবে সন্ধ্যার পর মার্কেটে প্রচুর ক্রেতা সমাগম হচ্ছে।

dhakapost

হল্যান্ড সেন্টার নামক শপিং মলের দোকানদার তফাজ্জল হোসেনও বলেন, প্রথম দিকের চেয়ে এখন আমাদের বিক্রি জমজমটা হয়ে উঠেছে। নারী, পুরুষ, শিশুদের জামা, কাপড়, পাঞ্জাবি, জুতা সবই লেটেস্ট কালেকশন আমাদের মার্কেটে আছে। যে কারণে ক্রেতা সাধারণেরও ব্যাপক উপস্থিতি হচ্ছে এসময়ে এসে।

সুবাস্তু নজরভ্যালী শপিংমলে ইফতারের পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আবির ফেরদৌস। তিনি বলেন, সারাদিন অফিস থাকে যে কারণে ইফতারের পরেই কেনাকাটা করতে এসেছি। অভিজাত অন্য সব মার্কেটে মানুষের প্রচুর ভিড়, এছাড়া সড়কে রয়েছে তীব্র যানজট। সে কারণে আমরা স্থানীয় মার্কেটেই শপিং করতে এসেছি। ভোগান্তি এড়াতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা এলাকভিত্তিক এসব শপিংমলগুলোতেই বেশি আসে।

নারীদের রেডিমেড পোশাকের চাহিদা বেশি

ঈদের কেনাকাটা শুরুর প্রথম দিকে সালোয়ার কামিজ, থ্রি পিস জাতীয় পোশাকগুলোর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও শেষ সময়ে এসে রেডিমেড পোশাকের চাহিদাই বেশি নারীদের মধ্যে। এর কারণ হিসেবে দোকানদাররা বলছেন প্রথম দিকে এসব ড্রেস কিনে টেইলার্সে বানানোর সুযোগ থাকলেও শেষ সময়ে এসে টেইলার্স অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে এখন যারা ড্রেস কিনছেন তারা রেডিমেড ড্রেসই বেশি কিনছেন।

dhakapost

রাজধানীর মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা বিভিন্ন নামের পোশাকগুলোর জনপ্রিয়তা যেমন আছে তেমনি দেশীয়, সুতি কাপড়ের চাহিদাও চোখে পড়ার মতো। এছাড়া পুষ্পা ও কাঁচা বাদাম নামক থ্রি পিসের ড্রেসগুলোর প্রতি নির্দিষ্ট শ্রেণির কাস্টমারের বেশ আকর্ষণ রয়েছে।

রাজধানীর সুবাস্তু নজরভ্যালী শপিং মলের তৃতীয় তলায় কথা রেহেনা খাতুন নামের এক গৃহিণীর সঙ্গে। তিনি তার দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শপিংয়ে এসেছেন। আলাপে রেহেনা খাতুন বলেন, এখন যেহেতু টেইলার্সগুলোতে অর্ডার নেওয়া বন্ধ, তাই দুই মেয়ের জন্য রেডিমেড গাউন কিনলাম। পাশাপাশি অন্যরাও এখন সবাই রেডিমেড ড্রেসই বেশি কিনছেন।

সুবাস্তু নজরভ্যালীর নাফি ফ্যাশন হাউজের ব্যবস্থাপক সেলিম আহমেদ বলেন, শেষ সময়ে যেহেতু টেইলার্সগুলো পোশাক বানানোর কাজ আর নিচ্ছে না, তাই এই সময়ে এসে রেডিমেড ড্রেসগুলোর চাহিদা বেশি।

তিনি আরও বলেন, এবার বাজারে আলোচনায় থাকা কাঁচা বাদাম, পুস্পা ড্রেসগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে সুতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, জর্জেট ২০০০ টাকার দামের পোশাক বেশি বিক্রি হয়েছে।

এএসএস/জেডএস

Link copied