৭৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে, ধুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩৯৮টি কোম্পানি, এর মধ্যে ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ারই রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে। যা শতাংশের হিসেবে ৭৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক কোম্পানির এমন অবস্থানের রেকর্ড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার ফ্লোর প্রাইসে ছিল ৩০০টি কোম্পানি। সেখানে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আরও কিছু কোম্পানি যোগ হয়।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- একমি ল্যাবরেটরিজ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মতো কোম্পানি।
সাদ সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী শামসুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে গত এক মাস ধরে আমার শেয়ার বিক্রি করতে পরিনি। তিনি বলেন, আমার পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে, সবকটিই ফ্লোর প্রাইসে।
শেলটেক ব্রোকার হাউজের বিনিয়োগকারী আব্বাস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, গ্রামীণফোনসহ ৯টি কোম্পানির শেয়ার আছে আমার। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের কারণে কোনোটিই বিক্রি করতে পারছি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য সুখকর নয়। তারপরও কমিশন সাময়িক দরপতন ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত তুলে নেবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার কারণে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছেন না। এ কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেনও কমছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে মঙ্গলবারও দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক হারিয়েছে ৩৫ পয়েন্ট। নিয়মিত দরপতনে প্রতিদিনই ফ্লোর প্রাইসে যোগ হওয়া কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস আরোপের পক্ষে নই, তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এটি আরোপ করা হয়েছে। এখন বিকল্প পদ্ধতি দেখা হচ্ছে।
এদিকে বাজারকে এই অবস্থা থেকে উত্তোলনে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন এ নির্দেশনা বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
এমআই/জেডএস