প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রতিবাদ

“অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপক”— শিরোনামে মিডল্যান্ড ব্যাংককে জড়িয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে উপস্থাপিত অভিযোগগুলোর আলোকে মিডল্যান্ড ব্যাংকের বক্তব্য নিম্নরূপ-
আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং “আপনার সাথে আপনার পাশে” স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিকট ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং বদ্ধপরিকর।
গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংক আজ দেশজুড়ে ২৯টি জেলা এবং ৬৭টি উপজেলায় ১২৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের মাধ্যমে বিস্তৃত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই থেকে মিডল্যান্ড ব্যাংকের অধীনে ঝাটুরদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার (মন্ডল হার্ডওয়্যার, অলোক মন্ডল, স্বত্বাধিকারী, মন্ডল হার্ডওয়্যার), কাইচাইল, নগরকান্দা, ফরিদপুর এলাকায় ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। গত বছরের (২০২৩ সাল) ২৪ ডিসেম্বর মিডল্যান্ড ব্যাংকের ঝাটুরদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই সময় কিছু গ্রাহকের অভিযোগ প্রদানের ভিত্তিতে ঝাটুরদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের সকল ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে অলোক মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে কোথাও পাওয়া না যাওয়ায় এবং তিনি পলাতক থাকায় ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঝাটুরদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের সকল সম্মানিত গ্রাহক এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য ব্যাংকের নিকটস্থ মালিগ্রাম শাখা (মালিগ্রাম বাজার, চান্দ্রা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর) এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গার বালিয়াহাটি বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের (মাহী এন্টারপ্রাইজ) সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগসমূহ পর্যালোচনা করে ধারণা কার যায় যে, অভিযোগকৃত লেনদেনসমূহ এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা বহির্ভূত, যা অভিযোগকারীগণ এজেন্ট মালিক অলোক মন্ডল, স্বত্বাধিকারী, মন্ডল হার্ডওয়ারের সাথে ব্যক্তিগত লেনদেনে সম্পৃক্ত ছিল। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, অলোক মন্ডল মিডল্যান্ড ব্যাংকের কোনো শাখা ব্যবস্থাপক নন বরং তিনি ব্যাংকের ঝাটুরদিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার “মন্ডল হার্ডওয়্যার”-এর স্বত্বাধিকারী বা মালিক। অভিযোগকারীগণ এজেন্ট অলোক মন্ডলের সাথে ব্যক্তিগত লেনদেনে সম্পৃক্ত ছিলেন, যা সম্পূর্ণভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম বহির্ভূত ছিল। এছাড়া, মিডল্যান্ড ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য আঙুলের ছাপে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর করা হয় এবং স্থায়ী আমানত খোলা ও বন্ধ করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। শুধুমাত্র মিডল্যান্ড ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের ভেতরে ও নির্দিষ্ট ব্যাংক প্রতিনিধির নিকট লেনদেন করা হয় এবং রশিদের মূল কপি প্রদান করা হয়। মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি লেনদেনের তথ্য এসএমএস-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করে থাকে। উল্লিখিত নিয়মের বাইরে কোনো প্রকার লেনদেন সংঘটিত হলে মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক উক্ত লেনদেনের দায়ভার গ্রহণ করার সুযোগ নেই। মন্ডল হার্ডওয়্যার এজেন্ট সেন্টারের গ্রাহক যারা উল্লিখিত পদ্ধতিতে লেনদেন করেছেন, তাদের সকল আমানত নিরাপদে আছে এবং তাদের সকলকে আমরা সবসময় এ ব্যাপারে সচেতন করি।
উল্লেখ্য যে, উক্ত ঘটনা উদঘাটিত হওয়ার পরও এজেন্ট সেন্টারের অধিকাংশ গ্রাহক (যারা নিয়ম মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন) এখনও আস্থার সাথে আমাদের সাথে ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রেখেছেন। যেসকল গ্রাহক উল্লিখিত পদ্ধতির বাইরে এজেন্ট অলোক মন্ডলের সাথে ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছেন, ব্যাংকের পক্ষে এ ধরনের কোনো প্রকার ব্যক্তিগত লেনদেনের দায়ভার গ্রহণের অবকাশ নেই।
এমএআর/
