খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকায় নামলেও ঢাকায় ১৫০

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৯০ টাকায় নেমেছে। সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে যাচ্ছে, এমন খবরে দেশি পেঁয়াজের দরপতন হয়েছে বলে মনে করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম এখনো ১৫০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে খাতুনগঞ্জ বাজারে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবারও যা বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকায়। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাতুনগঞ্জ বাজারে নতুন মেহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ এসেছে। এ জাতীয় পেঁয়াজের কেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজও গতকালের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গত তিন-চারদিন ধরে ঢাকায় দেশি পেঁয়াজ এ দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মেহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ দেখা যায়নি। পাতাযুক্ত পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দাম কমলেও ঢাকায় কমতে দুই-একদিন সময় লাগতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, দেশের কৃষকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। কৃষকরা একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা চাষের দিকে আর যাবে না। এজন্য আমাদের সবসময় কৃষকদের দিকে তাকাতে হবে।
উপদেষ্টার বক্তব্যকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাত্র ২-৩ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে ১৫০ টাকায় নিয়ে যায়। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির দেওয়ার ঘোষণা আসায় দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে আবার ৪০ টাকা দাম কমেছে। এখন রাজধানীসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে দাম কমার অপেক্ষা।
এমএমএইচ/এসএসএইচ