ঈদের আমেজে ঢিলেঢালা চলছে ব্যাংক
ঈদের টানা পাঁচদিন ছুটি শেষে খুলছে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় এখনো বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা নেই। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে কমকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। যারা এসেছেন তাদের কাজের চাপ কম থাকায় গল্প গুজব আর ঈদের কুশল বিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই চিত্র।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব ধরনের সেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংকাররা উপস্থিত আছেন। তবে যেহেতু এবার ঈদের লম্বা ছুটি ছিল বেশিরভাগ লোকজন গ্রামের বাড়ি গেছেন তাই গ্রাহক উপস্থিতি কম। চাপ কম, যারা আসছেন তারা সহজে সেবা নিতে পারছেন।
কর্মী উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, আজকে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত আছেন, আগামীকালের মধ্যে শতভাগ হয়ে যাবে। যারা ব্যাংকে আসছে আমরা তাদের সেবা দিচ্ছি। এ সপ্তাহ এমনই যাবে। আগামী রোববার নাগাদ ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
সোনালী ব্যাংকে আসা গ্রাহক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার একটা পে-অর্ডারের চেক ছিল, এটা জমা দিতে ব্যাংকে এলাম। কোনো ভিড় নেই, মাত্র পাঁচ মিনিতে কাজ শেষ করেছি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষ্যে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল রোববার ছিল নববর্ষের ছুটি। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটান ব্যাংক-বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি চাকরিজীবীরা।
ঈদ পরে ব্যাংকের লেনদেন ও অফিস সময় রোজার আগের নিয়মে শুরু হয়েছে। আজ থেকে অফিস হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং লেনদেন হবে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
সাধারণত রমজান মাসে রোজা রাখার সুবিধার্থে ব্যাংক লেনদেন ও খোলা রাখার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। এবারও রোজায় সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক খোলা ছিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
এসআই/জেডএস