পূর্বঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা

পূর্বঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে একীভূত হওয়া সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলিফ রেজা (ইউনিয়ন ব্যাংক), কামরুজ্জামান (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক), বাহাউদ্দীন আল মামুন (এক্সিম ব্যাংক) প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মো. পলাশ বলেন, একীভূত হওয়া পাঁচ ইসলামী ব্যাংক হলো- এক্সিম, এসআইবিএল, এফএসআইবি, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক। আমাদের কষ্টার্জিত টাকা এসব ব্যাংকের ভল্টে সুরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও সেই টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় আমরা আজ পথে পথে ঘুরছি। গত ২৮ নভেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে আমরা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে একটি সুনির্দিষ্ট আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, গভর্নর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে আমাদের পূর্বঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হলো। আমরা আশা করি, এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবির অনুকূলে আশানুরূপ ফল পাব।
তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের মূল উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ী হিসাবের নিরাপত্তা দিলেও ২ লাখ টাকার অধিক সম্পূর্ণ আমানতের- যেমন এফডিআর, ডিপিএস ও সঞ্চয়পত্র- সম্পর্কে এখনো কোনো লিখিত বা স্পষ্ট ঘোষণা পাইনি। আমরা এ বিষয়ে পরিষ্কার অবস্থান চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত দাবিগুলো
১) গেজেটের মাধ্যমে সকল আমানতকারীর সম্পূর্ণ আমানতের শতভাগ নিরাপত্তা ঘোষণা করতে হবে (সঞ্চয়ী, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপিএস- সবই মুনাফাসহ ফেরত দিতে হবে)।
২) টাকা কখন, কীভাবে এবং কোন ধাপে ফেরত দেওয়া হবে- তার একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ গেজেট আকারে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।
৩) আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকের সকল লেনদেন স্বাভাবিক করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট উত্তোলনসীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৪) লেনদেন স্বাভাবিক করার স্বার্থে নির্দিষ্ট লিমিট নির্ধারণ করে সব ধরনের অনলাইন লেনদেন চালু করতে হবে।
৫) ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব বয়স্ক ও ক্যান্সার রোগী আমানতকারীদের সম্পূর্ণ টাকা তাৎক্ষণিক ফেরতযোগ্য হিসেবে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৬) গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুরোপুরি চালু করতে হবে।
ওএফএ/এমএসএ