ব্যাংকের মতো বিমা খাত নিয়ন্ত্রণ করলে বাড়বে রাজস্ব

ব্যাংকের মতো করে বিমা খাতকে পরিচালনা করলে এখান থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দেশের অর্থনীতির গতি বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আয়োজিত বিমা খাতের সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় (ভার্চুয়াল) প্রধান আলোচক হিসেবে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সভাপতি গোলাম মওলা। সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত সুমনের সঞ্চালনায় মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ডিএমডি মো. হাফিজুর রহমান, সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন ও মো. কবির আহমেদ, ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন দেওয়ান ও মো. গোলাম আল মামুন, উপ-মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের মিয়াজী এবং সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদসহ আইআরএফ-এর সদস্যরা অংশ নেন।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬০টি। আর লাইফ ও নন-লাইফ কোম্পানির সংখ্যা ৮০টি। এটি মনিটরিংয়ের জন্য ছোট একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আছে (আইডিআরএ)। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যত বেশি সক্রিয় হবে ততবেশি বিমা কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নিজেই জনবল সংকটে রয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তাই চুক্তিভিক্তিক। তাদের অনেকেরই বিমা খাতের বিষয়ে ধারণা নেই।
ব্যাংক সরল অঙ্কে চলে, কিন্তু বিমা সরল অঙ্কে চলে না উল্লেখ্য করে, এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান এ নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বাধ্যবাধকতা ছাড়া কেউ নন-লাইফ বিমার আওতায় আসতে চায় না। শিল্প-কারখানাসহ বড় বড় মার্কেটে বিমা করা নেই। তাদের সম্পদের অবশ্যই বিমা করা উচিত বলে জানান তিনি।
আবু বকর বলেন, বিমার আওতায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৬০ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিমার বাইরে রয়েছে। বর্তমানে প্রিমিয়াম আছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। এদিকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিলে বিমা কোম্পানিগুলো ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে। এতে করে সরকারও বড় রাজস্ব পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ইনস্যুরেন্সের এ সিইও বলেন, বিমা দাবি আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সার্ভে প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইডিআরএ-তে আপিল করতে পারে।
বিমা খাতে আস্থা সংকট অনেক কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আস্থা সংকট এক সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আস্থা সংকট তেমন নেই। কোম্পানিগুলো নিয়মিত বিমা দাবি পরিশোধ করছে। একসময় বিমার ওপর শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব ছিল কিন্তু এখন এমনটা নেই।
এসআই/এফআর