অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী বাজেট

এ বছর সরকার প্রস্তাবিত বাজটে রাজস্ব আহরণের ওপর রাজস্ব আদায়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
তিনি বলেন, গত বছরের চাইতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২% কম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য Prospective কর ব্যবস্থা চালুকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের জন্য আহ্বান জানান এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওয়ায় কর দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান।
এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬%, যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্ত হবে না। তবে তিনি করজাল বৃদ্ধির জন্য জোরারোপ করেন। আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কম, এটাকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকট দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন। যদিও বিষয়টি বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে আবার কিছু কিছু পণ্যের ওপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫% কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এডিপি বাস্তবায়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন।
এআর/এসএম