সম্পদের ভারে ‘টইটম্বুর’ নাফিজ সরাফাত!

আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত ব্যবসায়ী এবং পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বিগত সরকারের সময়ে গড়েছেন সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী ঘরানার এই ‘হাইব্রিড’ ব্যবসায়ী নিজ, স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বর্তমানে সম্পদের ভারে যেন টইটম্বুর নাফিজ সরাফাতের পরিবার।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বারিধারা, বনানী, খিলক্ষেত, বাড্ডা ও উত্তরার নিকুঞ্জ থেকে শুরু করে পূর্বাচল এবং গাজীপুর— যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই নাফিজ সরাফাতের সম্পত্তির সারি। বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লট থেকে শুরু করে ব্যাংক, আইটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও পাওয়ার কোম্পানিসহ ডজনখানেক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে অল্প সময়েই হাজার হাজার কোটি টাকার এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে— এই বিপুল সম্পদের আসল উৎস কোথায়?
আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে নাফিজ সরাফাত ও তার পরিবার রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতে (গুলশান, বনানী, বারিধারা, পূর্বাচল) হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। দলিলে থাকা সম্পদের পরিমাণ দেখে খোদ দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাও হিমশিম খাচ্ছে
সম্পদের এই বিশাল তালিকার হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ওই সব প্রতিষ্ঠানে রাজত্ব করে গেছেন সরাফাত। অভিযোগ রয়েছে, দুদকের এক সময়ের প্রভাবশালী কমিশনার জহুরুল হকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ফলে অবৈধ সম্পদের অঢেল রাজত্ব গড়লেও সে সময় আইন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। সময়ের পরিক্রমায় আজ সাবেক কমিশনার জহুরুল ও নাফিজ সরাফাত দুজনেই দুদকের জালে আটকে গেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুসারে, চলতি বছরের ১ জুলাই নাফিজ সরাফাতের সম্পদের হিসাব চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ প্রদান করেছিল দুদক। এর বিপরীতে গত ১৮ আগস্ট তার আইনজীবী সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। বর্তমানে চলছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চুলচেরা বিশ্লেষণ।
নাফিজ সরাফাতের ছেলে রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামেই রাজধানীর গুলশান, বনানী ও তেজগাঁওয়ে ১১টি অভিজাত ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। এছাড়াও তার নামে রয়েছে আইটি, মিডিয়া ও ফাইন্যান্স কোম্পানির শেয়ার এবং ব্যাংকে কোটি টাকার আমানত
নাফিজ সরাফাতের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, “নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দুদকের একাধিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যার মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টিও রয়েছে। যতটুকু জানি তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। আমাদের অনুসন্ধান টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। কার্যক্রম শেষে কমিশনের অনুমোদনক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নাফিজ সরাফাতের আইনজীবী শাহরিন তিলোত্তমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, “দুদকের চলমান অনুসন্ধান নিয়ে আইনজীবী হিসেবে এই মুহূর্তে মন্তব্য করা উচিত নয়। ক্লায়েন্ট হিসেবে তার পক্ষে আমার কোনো বক্তব্য নেই।”

নাফিজ সরাফাতের যত সম্পদ
আয়কর নথি, সম্পদ বিবরণী ও বিভিন্ন উৎসে পাওয়া তথ্যানুসারে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিশাল বিবরণ মিলেছে। নিজ নামে ঢাকার অভিজাত এলাকায় আটটি ফ্ল্যাটের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে— গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার ২৬ নম্বর প্লটের সি ব্লকে ৩,০৪৪ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; উত্তরার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জের ৬ নম্বর প্লটে ৭৪৮.২৩ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; গুলশানের সাউদান রিসাইডের ৩৯৯ প্লটের এ ব্লকে ৩,০০৪ বর্গফুট ও ৪৭৪ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট; কাফরুলের লালা সরাই মৌজায় ১,৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং একই এলাকায় ১,৩৭০, ১,৪২০ ও ১,৪৭০ বর্গফুটের আরও তিনটি ফ্ল্যাট।
অন্যদিকে, সরাফাতের নামে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের এন ব্লকে পাঁচ কাঠা জমি, ঢাকা নিকুঞ্জের জোয়ার সাহারা মৌজায় তিন কাঠার প্লট, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২৭ নম্বর সেক্টরে ৭.৫০ কাঠার প্লট, রাজউকের খিলক্ষেত নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় তিন কাঠা জমির দুটি প্লট, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বসুন্ধরা মৌচাকে বি ব্লকে ১০ কাঠার দুটি প্লট এবং গাজীপুর সদর কাশিমপুরে ১৬.৫০ শতাংশ জমির অস্তিত্ব মিলেছে। এর অধিকাংশের সঙ্গে তার নিজ ঘোষণার মিল পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া তার নামে গুলশানে ২০ তলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি থাকার প্রমাণও মিলেছে।
স্ত্রীর নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়ি, পান্থপথ ও গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট এবং গাজীপুরে জমির মালিকানা রয়েছে। দুই মেয়ের নামে গুলশানে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাড্ডা ও নিকুঞ্জে জমি এবং প্রায় ৬৬ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে
শুধু সম্পদ নয়, বৈধ কিংবা অবৈধ আয়ে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন সরাফাত। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে— স্বর্ণ আমদানি করার প্রতিষ্ঠান আরোসা গোল্ড কর্পোরেশন, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর ইয়াং এন্টারপ্রেনিউর বাংলাদেশ, সাজেদা চৌধুরী মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এআই-৫ টেক সার্ভিসেস লিমিটেডে ১০ টাকার চার লাখ ৫০ হাজার শেয়ার, এসএফএল হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডে দুই হাজার শেয়ার, আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেডে ১,০০০ টাকার ১,৪৫০ শেয়ার, বাংলাদেশ রেস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডে ১০০ টাকার দুই লাখ ৫০ হাজার শেয়ার, সিটিজেন টেলিভিশনের মালিকানা, এসএফএল ইউনিক নেবরাস মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের যৌথ মালিকানা, আরোশা জনশক্তি লিমিটেডের মালিকানা, লিমুইনাস ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের যৌথ মালিকানা এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে কোটি টাকা বিনিয়োগের মালিকানা।
এছাড়া, ২২ কোটি টাকার বেশি অর্থ পরিবারের সদস্য ও অনুদান হিসেবে প্রদান, আসবাবপত্র, সাড়ে ৮৯ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি শটগান ও একটি রিভলভারের বর্ণনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ছেলে রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে যত সম্পদ
পিছিয়ে নেই নাফিজ সরাফাতের ছেলে রাহিবও। যদিও ছেলের নামে ওই সম্পদের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেলেও তা মূলত বাবার অবৈধ আয়ে অর্জিত বলেই মনে করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। রাহিবের নামে এখন পর্যন্ত ১১টি ফ্ল্যাটের মালিকানার প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে— গুলশানের বারিধারায় পার্ক রোডে ২,১৬৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট; বনানীর ১৯নং ওয়ার্ডের ১১ নম্বর রোডের ২৭নং প্লটে নির্মিত ভবনে ৩,০০৮.৮৩ বর্গফুটের চারটি ফ্ল্যাট; গুলশানের বারিধারায় কে ব্লকের ১৩ নম্বর প্লটে র্যাংগস হাই লিগ্যাসি ভবনে ২,৪০৭.৬৩, ২,৭৭৬.৩৭ ও ২,৪৬৯.৭১ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট; গুলশানের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১০২ ও ১০৩ নম্বর রোডে নয় কাঠার বাড়িসহ প্লট; একই এলাকায় ১৪০ নম্বর রোডে দুটি গাড়ি পার্কিংসহ ৪,৩৪৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৮৬ নম্বর প্লটের শান্তা ওয়েস্টার্ন টাওয়ারে ৫,৬৬৭.১৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে— সিঙ্গেল আইটি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড, এসফো নেস্ট ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, সারাক্ষণ মিডিয়া লিমিটেড, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, লুমিনাস ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ফিনিক্স সফটওয়্যার লিমিটেড ও স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের যৌথ মালিকানা। মা, বাবা ও বোনকে ঋণ হিসেবে আট কোটি টাকা প্রদান, প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যাংকে জমার তথ্য পাওয়া গেছে।
দুই মেয়ের নামে যত সম্পদ
সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে নেই তার দুই মেয়ে। নাফিজ সরাফাতের মেয়ে চৌধুরী জারা সরাফাতের নামে খিলক্ষেত নিকুঞ্জে ২,৭৬৮.৯৮ বর্গফুটের বাড়িসহ তিন কাঠা জমি, সাড়ে তিন কোটি টাকার নগদ অর্থ ও ঋণ এবং ২৮ ভরি স্বর্ণালংকারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কানাডা, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে প্রায় ১৬১৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে সিআইডি মামলা দায়ের করেছে। আদালতের নির্দেশে তাদের ২১টি ফ্ল্যাট ও দুটি বহুতল বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। বর্তমানে নাফিজ সরাফাত ও তার পরিবার দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন
অপর মেয়ে চৌধুরী আরোশা সরাফাতের নামে গুলশানের ১৮নং ওয়ার্ডে বোরাক পার্ক ভ্যালিতে ৩,৬০৩.৫০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের আওতায় বাড্ডায় ১০ কাঠা জমি, বাবা-মায়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ, দুটি কোম্পানির মালিকানা এবং সাড়ে ৩৭ ভরি স্বর্ণালংকার থাকার দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

স্ত্রী আঞ্জুমান আরার নামে যত সম্পদ
স্ত্রীর নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়িসহ জমি, পান্থপথে একটি, গুলশান লিংক রোডে একটি, মিরপুর ডিওএইচএস-এ একটি, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, বাড্ডার কাঠালদিয়ায় আড়াই কাঠা নাল জমি ও গাজীপুর সদরে ৮.২৫ শতাংশ চালা জমি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশনায় এগুলো ইতোমধ্যে ক্রোক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুসারে, নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ ও ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের ২১টি ফ্ল্যাট, দুটি বহুতল বাড়ি ও অনেকগুলো প্লট আদালতের নির্দেশনায় ক্রোক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই সব সম্পদের রিসিভার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে নাফিজ সরাফাত ও মোনেম লিমিটেডের দুই মালিকের বিরুদ্ধে গত ১৩ এপ্রিল একটি মামলা করে দুদক। এছাড়া কানাডা, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ১৬১৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে স্ত্রী-পুত্রসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলা করেছে বলেও জানা গেছে।
গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা নাফিজ সরাফাত পরিবারের ফ্ল্যাটসহ বাড়ি ও জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, নাফিজ সরাফাত ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা এবং নিজেদের মাধ্যমে একে-অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলমান। ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। দুদক উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের তলবি নোটিশে হাজির হননি নাফিজ সরাফাত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর চৌধুরী নাফিজ সরাফাত পরিবার দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আইনের চোখে তারা পলাতক রয়েছেন। ফলে নাফিজ সরাফাত কিংবা পরিবারের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরএম/এমএআর
