সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের মুনাফায় বড় উল্লম্ফন

পুঁজিবাজারে তালিকাভু্ক্ত সেব খাতের কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের মুনাফায় বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। কোম্পানিটি গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি। বড় এই মুনাফা অর্জনের ফলে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমান লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানির আলোচিত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি এ লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২ টাকা ৮৫ পয়সা হারে নিট মুনাফা হয়েছে ৬৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১ টাকা ৭৫ পয়সা হারে নিট মুনাফা হয়েছিল ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২৬ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ৬২ দশমিক ৮৭ শতাংশ ।
মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০ সালের পর এ বছর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানি। ২০১০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল, যার পুরোটাই ছিল বোনাস। এবার ১৮ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। এ হিসেবে কোম্পানির ১ টাকা ৮০ পয়সা হারে প্রায় ৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লভ্যাংশ বন্টন করতে হবে। অর্থাৎ আলোচিত বছরের অর্জিত মুনাফার ৬৩ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ হিসেবে বন্টনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি ২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা ৩৭ শতাংশ কোম্পানি সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে যুক্ত হবে।
ঘোষিত এই লভ্যাংশ ও আলোচিত অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।
এদিকে, বড় মুনাফা অর্জন ও ভালো লভ্যাংশ ঘোষণার পরও আজ কোম্পানির শেয়ারদর নিম্নমুখী রয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৮০ পয়সা বা প্রায় ২ শতাংশ দরপতন হয়ে কোম্পানির শেয়ার ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায় নেমেছে।
সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৮ সালে। বর্তমানে এটি শেয়ারবাজারে ভালো মানের ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। সর্বশেষ গত অক্টোবর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৫৯ শতাংশই ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। বাকি ৪১ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ শেয়ার।
এমএমএইচ/এসএম