গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রত্যয় নিয়ে একযোগে ১৬ অঞ্চলে ইউসিবি’র টাউনহল

একই দিনে, একই সময়—দেশের ১৬টি অঞ্চলে একসাথে অনুষ্ঠিত হলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)-এর টাউনহল। কোথাও ব্যাংকের চেয়ারম্যান, কোথাও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোথাও এএমডি, ডিমডি কিংবা সিনিয়র কর্মকর্তারা। পুরো দেশের টিম-মেম্বারদের নিয়ে এমন সমন্বিত আয়োজন দেশের ব্যাংকিং অঙ্গনে এক অভিনব অভিজ্ঞতা।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) যে একটি সফল বছর পার করছে, তা এখন আর অজানা নয়। চলতি মাসে ব্যাংকটি পৌঁছেছে ১১,০০০ কোটি টাকার বেশি নেট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি এবং নতুন ৬.৫ লক্ষেরও বেশি নতুন অ্যাকাউন্টের মাইলফলকে। এটা ইউসিবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং গত বছরের তুলনায় আড়াই গুণেরও বেশি। গত জানুয়ারি থেকে এই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধার এবং অধিকাংশ শাখার প্রফিটেবিলিটি বৃদ্ধিতে অনন্য নজির গড়েছে ইউসিবি।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন : সারা দেশের প্রতিটি টিম-মেম্বারকে এক সুতোয় গাঁথা। সেই দর্শনের বাস্তব প্রতিফলন হিসেবে ইউসিবি এ বছর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আয়োজন করেছে চারটি রিজিওনাল টাউনহল। একই দিনে দেশের ১৬টি অঞ্চলে শাখা প্রধানরা একত্রিত হয়ে তুলে ধরেছেন তিন মাসের অর্জন, ভাগ করে নিয়েছেন কার্যকর বিজনেস কৌশল এবং পরবর্তী প্রান্তিকের জন্য নির্ধারণ করেছেন সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক উদ্দেশ্য ও কর্মপরিকল্পনা। পেয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান ও সহযোগিতার দিকনির্দেশনা।
আজ ইউসিবির প্রতিটি টিম-মেম্বার জানে তার মিশন ও লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যবোধ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে সাপোর্ট স্টাফরাও সমানভাবে এগিয়ে এসেছে। গত কয়েক মাসে মেসেঞ্জার, প্রহরীসহ অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফরা নিজেদের উদ্যোগে, আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতায় সম্মিলিতভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছেন।
এই টাউনহলগুলোতে কেবল পারফরম্যান্স রিভিউ বা পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না আয়োজন। ছিল আরেকটি বড় আকর্ষণ, যারা এক কোটি টাকার বেশি আমানত সংগ্রহ করেছেন, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষরযুক্ত বিশেষ সম্মাননা পত্র। নিজেদের শ্রম, দক্ষতা ও নিষ্ঠার এই স্বীকৃতি তাঁদের আরও বেশি উজ্জীবিত ও গর্বিত করেছে। পাশাপাশি, টাউনহলগুলোতে কেউ গান গেয়েছেন, কেউ কবিতা আবৃত্তি করেছেন, কেউ কৌতুকের মাধ্যমে হাসিতে ভরিয়ে তুলেছেন। কর্মীরা তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে অনুষ্ঠানকে করে তুলেছেন প্রাণের উৎসব।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেছেন, আমরা যা কিছু করছি, তা গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য, সবাই মিলে একসাথে, একপথে।
