বছর কাটল গ্যাস সংকটে, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নানা উদ্যোগ

গ্যাস সংকটের মধ্য দিয়ে এ বছর পার করল দেশের জ্বালানি খাত। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি, দেশীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়া, এলএনজি আমদানির ব্যয় বৃদ্ধি এবং সমুদ্রবক্ষে অনুসন্ধান কার্যক্রমে স্থবিরতার কারণে বছরজুড়ে চাপের মুখে ছিল দেশের গ্যাস খাত।
তবে, একই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা অনুমোদন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, বকেয়া পাওনা পরিশোধ এবং নতুন কূপ খননের মাধ্যমে এ সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জোরালো চেষ্টা করেছে সরকার।
বছরজুড়ে গ্যাস সংকট
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলার) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে গ্যাসের সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে চার হাজার মিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে দুই হাজার ৮ মিলিয়ন বা ২৮০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার মিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের। ফলে চাহিদার তুলনায় সংকট রয়েছে প্রায় ১০০০ মিলিয়ন বা ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের।

পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এবার দেশে গ্যাসের সরবরাহ সর্বনিম্ন। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে সরবরাহ হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। বাকিটা পূরণ হচ্ছে আমদানি করা এলএনজি থেকে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় যা খুব নগণ্য। আর এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এলএনজির আমদানি বাড়াতে আরেকটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। যা অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে।
এ ছাড়া দেশীয় কূপ খননের মাধ্যমে সহসা বাড়তি গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্থবির হয়ে আছে সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমও। ফলে এক চরম সংকটপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়েই শেষ হলো গ্যাস খাতের এ বছর।
আদানির বিদুৎ বন্ধের হুমকি
চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে আদানি পাওয়ারের হেড অব এনার্জি রেগুলেটরি অ্যান্ড কমার্শিয়াল অভিনাশ অনুরাগ পিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে জানান, বারবার অনুরোধ ও যোগাযোগের পরও পিডিবি ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৯.৬ কোটি ডলার) বকেয়া পরিশোধ করেনি। পিডিবির নিজস্বভাবে স্বীকৃত বকেয়া ২৬২ মিলিয়ন ডলার এখনও অনাদায়ী রয়েছে। বারবার বিল বকেয়া থাকায় তারা ২০১৭ সালের পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের (পিপিএ) ধারা ১৩.২ (i) ও (ii) অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার আইনি অধিকার রাখে।

এরপর ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। কোম্পানিটি জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও কেন্দ্রের ‘নির্ভরযোগ্য সক্ষমতা’র ভিত্তিতে তারা ‘ক্যাপাসিটি পেমেন্ট’ বা কেন্দ্র ভাড়া পাওয়ার অধিকারী থাকবে।
পরবর্তী সময়ে ১১ নভেম্বর সরকার বকেয়া বিল পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করলে আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে।
বকেয়া পরিশোধ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট দেনা ছিল প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা টাকা। যা বর্তমানে ১০ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
বকেয়া থাকা মোট ৮২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ছিল ৫২৯ মিলিয়ন ডলার এবং জ্বালানি খাতের বকেয়া ছিল ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ খাতের বকেয়ার মধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিল-কয়লা বিল উল্লেখযোগ্য। আর জ্বালানি খাতের মোট বকেয়ার অধিকাংশই এলএনজি আমদানির বিল।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি অনুমোদন
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চলতি বছরে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে সরকার।
এই খসড়ায় দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির বিকাশ সাধন, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গ্রিডে বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি যুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে ‘ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম’ ব্যবহার, বিদ্যুতের প্রতিযোগিতামূলক ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করা এবং এই খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়গুলোও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় জরুরি চাহিদা মেটাতে বিদ্যমান সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, পিপিআর-২০০৮ ও পিপিএ-২০০৬ অনুসরণ করে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য সরবরাহকারীদের তালিকাভুক্ত করা এবং একটি নতুন ‘ফ্লোটিং, স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট’ নির্মাণের বিষয়টিও পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দক্ষ জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করা, বিতরণ পয়েন্টগুলোতে ‘স্ক্যাডা’ স্থাপন, বিপিসির তেল সরবরাহ পয়েন্টে ‘স্মার্ট ডিপো ম্যানেজমেন্ট’, স্ক্যাডা এবং জিআইএস বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তেল সরবরাহ পয়েন্টে আরএফআইডি এবং ইআরপি সিস্টেম চালু করা হবে।
অপরদিকে মধ্যমমেয়াদি পরিকল্পনায় ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি নতুন এবং ওয়ার্কওভার কূপ খননের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দক্ষিণাংশ উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাতারবাড়ী, ভোলায় এনার্জি হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। মহেশখালীতে ট্যাঙ্ক ফার্ম স্থাপন এবং এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাতারবাড়ীতে প্রস্তাবিত ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল থেকে আরএলএনজি সরবরাহের লক্ষ্যে মহেশখালী থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত একটি গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে; এর ফলে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এ ছাড়া, টেকসই ও স্থিতিশীল পেট্রোলিয়াম সরবরাহ নিশ্চিত করতে ‘ইআরএল-২’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বার্ষিক তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করার পাশাপাশি ‘ইউরো ৫-৬’ মানের পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করতে পারবে। দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পতেঙ্গার প্রধান স্থাপনাগুলোতে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় করা হবে। জ্বালানি ডিলারশিপ লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে ‘ওয়ান-স্টপ সার্ভিস’ চালুর পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে নতুন গ্যাসচালিত ‘কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন’ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং স্থল ও সমুদ্র উভয় এলাকায় সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৩০-৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সৌর, বায়ু, জৈবশক্তি এবং পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন শক্তি উৎপাদনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) অধীনে অফশোর ও অনশোর এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন এবং মধ্যপাড়া পাথর খনি উন্নয়নের (দ্বিতীয় পর্যায়) পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এলএনজি আমদানির চুক্তি সম্পাদন, কয়লার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রায়-শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবুজ হাইড্রোজেনের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়গুলোও এই পরিকল্পনায় স্থান পেয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে ইআরএল ইউনিট-৩ স্থাপন, মোংলা থেকে দৌলতপুর ও পার্বতীপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন নির্মাণ, কুয়াকাটা-পায়রা-বরিশাল গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন এবং একটি গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট ও গ্যাস সংগ্রহ পাইপলাইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় সোলার রুফটপ কর্মসূচি গ্রহণ
সরকারি সব ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের লক্ষ্যে এ বছর ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণ করেছে সরকার। এর আওতায় ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি অবকাঠামোতে প্রায় তিন হাজার সোলার সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে ব্যবহৃত বিদ্যুতের জন্য কোনো বিল পরিশোধ করতে হবে না; উল্টো সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত হারে ভাড়া পাবে।
‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যে ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি স্থলভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরপত্র (টেন্ডার) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রকল্পগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
জ্বালানি সংকট নিরসনে পেট্রোবাংলার উদ্যোগ
চলতি বছরে দেশের বিদ্যুৎ খাত কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও গ্যাস খাতে তীব্র সংকট পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চলতি বছরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পেট্রোবাংলা।
সেই লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৫০টি এবং ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের কর্মপরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জামালপুর স্ট্রাকচারে গ্যাসের মজুত ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে আরও দুটি (১টি উন্নয়ন ও ১টি অনুসন্ধান) কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার ডিপিপি প্রণয়নের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া হরিপুর স্ট্রাকচারে মজুতকৃত জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিক উত্তোলন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সিলেট-১২’ তেল কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ভোলা এলাকায় প্রাপ্ত গ্যাসের মজুত ও বিস্তৃতি নির্ণয়ের লক্ষ্যে ওই এলাকায় আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আবিষ্কৃত ভূতাত্ত্বিক কাঠামোর গভীর স্তরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত মূল্যায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতায় তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে দুটি এবং বাপেক্সের আওতায় শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ড ও মোবারকপুর স্ট্রাকচারে দুটিসহ মোট চারটি গভীর কূপ খননের কাজ চলছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ব্লকে নতুন নতুন লিড বা প্রসপেক্টসহ খননযোগ্য কূপের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল-এর নিজ নিজ ব্লকে সিসমিক ডেটা আহরণ ও বিশ্লেষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া, ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে বিজিএফসিএল-এর সঙ্গে ‘টার্ন কি’ পদ্ধতিতে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারের আরও একটি রিগের মাধ্যমে ‘তিতাস-৩১ ডিপ’ অনুসন্ধান কূপের খনন কার্যক্রম শুরু করতে কাজ করছে পেট্রোবাংলা।
ওএফএ/এমজে
