লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) প্রবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এলএমএস বাস্তবায়নের নিমিত্তে আয়োজিত এক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার প্রধান বাহন ভালো বই। শিক্ষার্থীদের হাতে যদি ভালো পাঠ্যবই তুলে দেওয়া যায়, তাহলে নোট-গাইড নির্ভরতা অনেক কমে যাবে। আমাদের ভালো মানের বইয়ের খুবই অভাব রয়েছে।
দেশের প্রথিতযশা এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, কলেজ শিক্ষকরা যদি ভালো বই লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বই মুদ্রণ, বিপণন থেকে শুরু করে সব দায়িত্ব গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, কলেজ শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের সমান সুযোগ দেওয়া হবে। তাদের এককালীন সম্মানী, প্রতিবছর রয়ালিটি দেওয়া হবে। ভালো বই রচনায় যদি সময় বেশি লাগে তাতেও কোনো সমস্যা নেই। প্রয়োজনে দুই বছর সময় নিয়ে হলেও ভালো বই রচনায় মনোযোগী হতে হবে।
শিক্ষকদের গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, কলা, সায়েন্স, সোশ্যাল সাইন্সসহ সকল পর্যায়ে মানসম্পন্ন গবেষণা হওয়া আবশ্যক। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কিন্তু ভালো গবেষণা প্রস্তাব আপনারা জমা দিলে কোনো ধরনের অর্থ সংকট হবে না। আমরা সেই অর্থের সংস্থান করব। কারণ স্বচ্ছতার জায়গায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত আছি। এলএমএস এর কাজটি যদি আমরা ভালোভাবে করতে পারি তাহলে প্রয়োজনে সরকারি অর্থায়নও আমরা নিতে পারব।
তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের জনবলকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। তাদের মানস গঠন পাশ্চাত্যের হুবহু অনুকরণে হবে সেটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির আদলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা বেড়ে উঠুক। তারপরে সে দক্ষ মানুষ হোক, বিশ্ব নাগরিক হোক।
এমএম/এসকেডি