১৩তম নিবন্ধনধারীদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়োগের সুপারিশের অভিযোগ

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৫ জুন ২০২১, ০৭:৫১ পিএম


১৩তম নিবন্ধনধারীদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়োগের সুপারিশের অভিযোগ

অডিও শুনুন

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত সুপারিশের আগে আদালতের রায়ে আটকে যায় নিবন্ধিত দুই হাজার ২০৭ প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিষয়টি বিচারাধীন থাকার পরও তাদের নিয়োগ সুপারিশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

একটি সিন্ডিকেট এ নিয়োগের জন্য সুপারিশ করানোর তোড়জোড় শুরু করেছে। এর পেছনে অর্থযোগের বিষয় রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রার্থীদের অভিযোগ, এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন এনটিআরসিএর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিচারাধীন বিষয়ে নিয়োগের সুপারিশ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

জানা গেছে, আপিল বিভাগের রায়ের দোহাই দিয়ে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সেই রিটে অংশ নেওয়া নিয়োগপ্রত্যাশী দুই হাজার ২০৭ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেকের কাছ থেকে নিশ্চিত নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নিয়েছে চক্রটি। 

অভিযোগ উঠেছে, টাকা দেওয়া নিয়োগপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে জানতে পারছেন তারা কোন পদে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাচ্ছেন। আদালতের দোহাই দিয়ে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এমনই অবৈধ বাণিজ্য চলছে। সাধারণ প্রার্থীরা তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।

এনটিআরসিএর সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, রিভিউ আবেদন করায় বিষয়টি বিচারাধীন। এ পর্যায়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি না হলে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুসারে পদ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, একদিকে রিভিউ চেয়ে আবেদন, অপরদিকে সেই রায়ের আলোকে নিয়োগ- একইসঙ্গে হতে পারে না। যদি নিয়োগ দেওয়াও হয়, বিষয়টি আইনসম্মত হবে না। আর এনটিআরসিএ যদি এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুও করে, তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টি হবে প্রশ্নবিদ্ধ। 

এনএম/আরএইচ

Link copied