বয়স জটিলতায় আবেদন বঞ্চিত, এনটিআরসিএতে ১৭তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগের ১৭তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের কারণে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারছেন না প্রার্থীরা। এ কারণে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভবনে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
রোববার (৪ মে) জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ইস্কাটন রোডের ভবনের সামনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের ব্যানারে অবস্থান নেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের কারণে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেননি ৭৩৯ জন প্রার্থী। তারা অন্তত একবার সুযোগের দাবি করছেন।
ফোরামের নেতারা জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, যা চার বছরেরও বেশি সময়। এতে ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় ৭৩৯ জন প্রার্থী পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ হারান। অথচ সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকা সত্ত্বেও তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তারা আরও উল্লেখ করেন, এনটিআরসিএ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তাব পাঠালেও আইনি জটিলতার কথা বলে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। যদিও আইন মন্ত্রণালয় আপিল বিভাগের রায় ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রার্থীদের বয়স ৩৫ নির্ধারণের বিষয়ে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রেখেছে।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, এনটিআরসিএর পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ৯৭ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে মাত্র ২৪ হাজারের কম প্রার্থী আবেদন করেন। যেখানে ৭৩৯ জন ১৭তম নিবন্ধনধারী বয়সের কারণে আবেদন করতে পারেননি। ফোরামের দাবি, এনটিআরসিএ বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিবেচনায় ছাড় দিলেও এই ব্যাচের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
আরএইচটি/এমএন