এমপিওভুক্তির দাবিতে ঈদের পর ফের আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরা

সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার কথা থাকলেও এখনো সে প্রক্রিয়া আলোর মুখ না দেখায় গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তাই এমপিও ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ায় ঈদের পর কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’।
গতকাল বুধবার পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিষদের আয়োজনে এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এমনকি গত ১১ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত ঘোষণা আসেনি। এতে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হকের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা।
তিনি বলেন, ৭২৮ কোটি টাকা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ থাকলেও সাধারণ নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই—এটি স্পষ্ট বৈষম্য এবং সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণের পরিচায়ক।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পরের সপ্তাহে সরকার যদি কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেয়, তবে দেশের শিক্ষকসমাজ ছাত্র, অভিভাবক, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
অধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মে মাসের মধ্যেই এমপিও কার্যক্রম শেষ করে জুলাই থেকে বেতন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো নীতিনির্ধারক মহলে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
অধ্যক্ষ নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদী বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকদের জীবনের দুর্দশা যেন সরকারের চোখে পড়ে না। আমরা এখনও আশা করছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করবে।
এসময় তারা বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন৷ সেগুলো হচ্ছে —
সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করতে হবে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে লিখিত ঘোষণা দিতে হবে, বাজেটে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. আব্দুস সালামসহ অন্যান্যরা।
আরএইচটি/এমএ