ইংরেজি-গণিতের ভরাডুবিতে ডুবেছে বরিশাল বোর্ড, কারণ কী?

চলতি বছরের এসএসসির ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের দুর্বল ফলাফলের কারণে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সামগ্রিক পাসের হার ব্যাহত হয়েছে। এই দুই বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন, প্রকৃত অবস্থা জানতেই সহানুভূতি দেখানো কিংবা খাতায় অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়নি। যার স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে রেজাল্টে।
বোর্ডের বিষয়ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বরিশাল বোর্ডে বাংলা বিষয়ে পাস করেছে ৯২ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে যথাক্রমে ৯২ দশমিক ১০ ও ৯১ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। আইসিটিতে সবচেয়ে ভালো ফল, পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পৌরনীতি ও নাগরিকতায় ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে পাস করেছে ৮৬ দশমিক ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন
কিন্তু ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের ফল বিপর্যয়ের চিত্র স্পষ্ট। ইংরেজিতে পাসের হার মাত্র ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গণিতে আরও কম—মাত্র ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ, ইংরেজি ও গণিত এই দুটি মূল বিষয়ের প্রতিটিতেই প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক সংকট এবং নিয়মিত ক্লাস ও অনুশীলনের অভাবও ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, বরিশালের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এবার পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে আমরা যথাযথ নিয়ম মেনে চলেছি। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল পর্যন্ত সবাই কঠোরভাবে কেন্দ্র তদারকি করেছে। আমি নিজেও বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এবার স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল—শিক্ষার প্রকৃত মান যাচাই করতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। সেই নির্দেশনা অনুসরণ করেই আমরা কঠোরভাবে পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছি। ফলে এবার যে ফলাফল এসেছে, সেটিই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত করেছে।
তবে এই দুই বিষয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে মানসম্মত ক্লাস, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আধুনিকতা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরএইচটি/এআইএস