শিক্ষা ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির’ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে দ্রুত অধ্যাদেশ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ৪০০ থেকে ৫০০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল শিক্ষা ভবনের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো এসি রুমে আলোচনায় বসবো না। সচিবালায়ও যাব না। আমাদের দাবি একটাই, তা হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। দ্রুত সময়ে অধ্যাদেশ জারি না করলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এ সম তারা ‘উই ওয়ান্ট, উই ওয়ান্ট, অর্ডিন্যান্স, অর্ডিন্যান্স’, ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘তালবাহানা বন্ধ করো, অধ্যাদেশ জারি করো’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হন। পরে একযোগে স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষা ভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষা ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শিক্ষা ভবনের মূল ফটকের প্রবেশদ্বারে দেওয়া হয় ব্যারিকেড।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও এখনো চূড়ান্ত অধ্যাদেশের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতে পরিচয় সংকট, অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং থেকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত আইনটির ওপর অনলাইনে মতামত নেওয়া হলেও তিন দফা বৈঠকের পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আজকের কর্মসূচি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যাদেশ জারি না হলে রোববারে শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং পরে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে, ঢাকা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, বহুদিন ধরে সাত কলেজকে নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। পরিচয় সংকট ও অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা পড়েছি। এখন আমাদের একটাই দাবি। সেটি হচ্ছে, অধ্যাদেশ।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।
এমএমএইচ/এমএন