নতুন এমপিও নীতিমালায় প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগে নতুন মানদণ্ড

নতুন এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে নতুন মানদণ্ড। সদ্য প্রকাশিত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫’-এ পদোন্নতি ও নিয়োগে অভিজ্ঞতার সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে দুই থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের যোগ্য বিবেচিত হবেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নীতিমালাটি কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন নীতিমালায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের নিয়োগ–যোগ্যতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ কমপক্ষে ১৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে দুই থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক বিনা অনুমতিতে টানা ৬০ দিন বা তার বেশি সময় অনুপস্থিত থাকলে তিনি এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। এমন ক্ষেত্রে ৬০ দিন পূর্তির পর সংশ্লিষ্ট পদটি শূন্য ঘোষণা করে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হবে।
জনবল কাঠামোতে একাদশ শ্রেণিতে নতুন শাখা খোলার ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো বেসরকারি কলেজে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু করতে হলে প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ৩৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ খুলতে প্রয়োজন হবে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী। মফস্বল এলাকায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ন্যূনতম ৩০ জন এবং বিজ্ঞান বিভাগ চালু করতে ন্যূনতম ২০ জন শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরএইচটি/এমএসএ