হানিমুনে গিয়ে খুন, মেঘালয়ের কুখ্যাত সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিনেমা আমিরের

বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খান কি এবার নামছেন রিয়েল-ক্রাইম থ্রিলারের জগতে? ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কুখ্যাত মেঘালয় মার্ডার কেস নিয়ে জোরকদমে রিসার্চ শুরু করেছেন তিনি। যেখানে জড়িয়ে আছে —ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশীর নাম।
বিজ্ঞাপন
সূত্রের দাবি, এই মুহূর্তে আমির ও তার দল এই বাস্তব ঘটনার উপর ব্যাপক পড়াশোনা ও রিসার্চ চালাচ্ছেন। চূড়ান্ত চিত্রনাট্য বা এই ছবি সম্পর্কে ঘোষণা না হলেও, যেভাবে আমির খুঁটিয়ে তদন্ত করছেন, তাতে ইঙ্গিত মিলছে—এটা হতে চলেছে তার পরবর্তী বড় থ্রিলার প্রজেক্ট।
কী এই ‘মেঘালয় মার্ডার কেস’?
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, যেখানে সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে এক সাধারণ মধ্যবিত্ত দম্পতির নাম, রাজা ও সোনম রঘুবংশী।
ইন্দোর থেকে তারা ঘুরতে গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। এরপর ঘটে যায় এমন এক হত্যাকাণ্ড, যা পুলিশ, সংবাদমাধ্যম এবং সমাজ—তিন জায়গায়ই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি ছবি বা সিরিজ তৈরি হয়, তাহলে বলাই যায়—এটা হবে বলিউডের পরবর্তী থ্রিলার সেনসেশন।
গত ২৩ মে মেঘালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাজা এবং সোনম। ১০ দিন পরে ২ জুন চেরাপুঞ্জির জলপ্রপাতের ধার থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় স্ত্রী সোনমকে।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছিল, সোনম আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজার খুনে তিনিই মূল অভিযুক্ত। এছাড়া, তার প্রেমিক রাজ এবং কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের কাজে সহায়তার জন্য রাজ তাদের টাকাও দিয়েছিলেন। তবে তারা ভাড়াটে খুনি নন।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বিয়ের আগে থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। ইচ্ছা করেই হানিমুনে যান মেঘালয়ে।
এরপর চলতি মাসে সেই ঘটনাতেই নতুন তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। মিলেছে দ্বিতীয় একটি মঙ্গলসূত্র। যা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, সোনম আরও এক বার বিয়ে করে থাকতে পারেন। রাজার দাদা বিপিনও সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, রাজার মৃত্যুর পরেই হয়তো প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাকে বিয়ে করেছিলেন সোনম। দ্বিতীয় মঙ্গলসূত্রটি সেই বিয়েরই প্রমাণ। তবে মঙ্গলসূত্রটি আদৌ সোনমের কি না, কোথা থেকে কোন অবস্থায় তা পাওয়া গেছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
অন্যদিকে, আমির খান এর আগে 'সত্যমেব জয়তে' টিভি শো-এর মাধ্যমে সমাজ সচেতনতা ও বাস্তব কাহিনির সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। এবার তার এই রিসার্চ-প্রবণ পদক্ষেপ দেখে অনেকেই বলছেন—আসছে আবার সেই সিরিয়াস কনটেন্ট, যেটা কেবল আমির খান-ই দিতে পারেন। যেখানে অন্যান্য তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আর ফটোশুটে ব্যস্ত, সেখানে আমির খান নিঃশব্দে তদন্ত করছেন একটি চাঞ্চল্যকর বাস্তব হত্যাকাণ্ডের গভীরে। প্রজেক্ট এখনই শুরু না হলেও, এটা স্পষ্ট—এই গল্প বলার জন্য একজন আমির-ই যথেষ্ট।
এনএইচ